কবে জমা পড়বে চার্জশিট, কোথায় দাঁড়িয়ে অভয়া ধর্ষণ-খুনের তদন্ত?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: হাজার হাজার ‘তথ্য’ সিবিআই সূত্র মারফত বাজারজাত হয়েছে। প্লাবনের মতো রয়েছে ‘ফেক নিউজ’। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণই সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। আপাতত ধর্ষণ-খুনের চার্জশিট শিয়ালদহ আদালতে পেশ করে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তাঁরা। কারণ খুন ও ধর্ষণ নিয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই। পুজোর আগেই ধর্ষণ-খুনের চার্জশিট জমা দেওয়ার প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে দিল্লি থেকে। জানা যাচ্ছে, দুর্নীতির তদন্ত চলবে। ধর্ষণ-খুনে কোনও টালবাহানা চলবে না। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারি রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে ধর্ষণ-খুনের ফাইনাল স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: আরজি কর আবহে চিকিৎসকদের কনফারেন্স অর্ধনগ্ন নর্তকির সঙ্গে ডাক্তারদের অশ্লীল নাচ, নেটপাড়ায় নিন্দার ঝড়
শিয়ালদহ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পর্যন্ত তারা পায়নি। তাদের মতে, প্রধান অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই-ই অপরাধী। নির্যাতিতার হত্যাকাণ্ডের শুনানি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রুত শুরু করতে চাইছে তারা। গত ৪০ বছর ধরে বহু মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত ও চার্জশিটের ভিত্তিতে আদালতে সাজা ঘোষণার হার রীতিমতো খারাপ। তারা জানে, আরজি কর মামলা তাদের মুখরক্ষা করতে পারে। তাদের কাছে সুযোগ রয়েছে নিজেদের প্রমাণ করার। ধর্ষণ-খুনে সঞ্জয় ছাড়া দ্বিতীয় কারও নাম চার্জশিটে না থাকলে কলকাতা পুলিশকেই কৃতিত্ব দিতে হবে। কারণ, সঞ্জয়কে সিবিআই গ্রেপ্তার করেনি। কলকাতা পুলিশ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছিল।
মনে করা হচ্ছে, সিবিআই ধর্ষণ-খুন মামলার চার্জশিটে ঘটনার বিবরণ, সন্দেহভাজনের ভূমিকার বিস্তারিত তথ্যের পাশাপাশি বেশি মাত্রায় উল্লেখ করবে সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের। তার জন্য কে বা কারা দায়ী, সে তালিকা তৈরিতে দেরি হচ্ছে। কারণ, প্রতিটি অভিযোগের সপক্ষে সাক্ষী খাড়া করতে হবে। ন্যায় সংহিতার ৬৩ নং ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের অপরাধের তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দিতে হয় চার্জশিট। ৬৬ ধারা রুজু করা হয় ধর্ষণ এবং তার জেরে নির্যাতিতার মৃত্যু হলে। আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণের পাশাপাশি নির্যাতিতাকে হত্যাও করা হয়েছে। তাই হত্যার মামলাও রুজু হয়েছে। ধর্ষণ ও হত্যার মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সময়সীমা ৯০ দিন। যত দেরি হবে, ততই চাপ বাড়বে সিবিআইয়ের উপর।