খিদিরপুরের সাহা বাড়ির সন্ধি পুজোয় কোন বিশেষ রীতি আজও মানা হয়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খিদিরপুরের মোহনচাঁদ রোডের সাহা বাড়ির পুজো বয়স শতবর্ষ পেরিয়েছে। আজও অটুট রয়েছে ঐতিহ্য। রীতি মেনে প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় খিদিরপুরের সাহা বাড়িতে। মহাষ্টমীতে সন্ধিপুজোয় চেলি পরে মায়ের সামনে বসে বাড়ির বউ পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন।
সাহা বাড়ির পুজো ১১৩ বছরে পদার্পণ করল। হেমচন্দ্র স্ট্রিটের আদি সাহা বাড়িতে স্বর্গীয় ভোলানাথ সাহা প্রথম এই পুজো শুরু করেছিলেন। পরে তিনি চলে আসেন খিদিরপুরের বাড়িতে। তারপর থেকে সেখানেই পুজো হচ্ছে। প্রাচীন রীতি ও প্রথাকে অক্ষত রেখে পুজো হয়ে আসছে। জন্মাষ্টমীর দিন হয় সাহা বাড়ির কাঠামো পুজো। কৃষ্ণনগর থেকে মৃৎশিল্পীরা এসে ঠাকুর দালানে প্রতিমা গড়েন।
ডাকের সাজে অন্যন্য মৃন্ময়ী রূপ ধারণ করেন দুর্গা। মহালয়ার পর প্রতিপদ থেকে ঘট বসিয়ে সংকল্প করে মায়ের পুজো শুরু। পুজোর সময় ১০ মণ চাল ও এক মণ চিনির নৈবেদ্য দেওয়া হয়। প্রতিপদ থেকে পঞ্চমী পর্যন্ত ভোগের জন্য নারকোল ও গুড়ের নাড়ু দেওয়া হয়। ষষ্ঠীর সকালে দুর্গাকে সোনার অলংকার দিয়ে সাজানো হয়। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর বোধন হয়। সপ্তমীর ভোরে আদিগঙ্গায় নবপত্রিকা স্নান, অষ্টমীতে কুমারী পুজো হয়। বাড়ির মেয়ে ও বউরা কুমারীর পায়ে আলতা পরিয়ে দেন। তারপর তাঁকে পুজো করেন। সন্ধিপুজোর সময় ঠাকুরদালানে জ্বালানো হয় ১০৮ প্রদীপ। ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টা বাজিয়ে দুর্গাকে কাঁধে চাপিয়ে বিসর্জনের জন্য গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হয়।