৩২৭ বছরে পা দিল ডোমজুড়ের চন্দ্রবাড়ির দুর্গাপুজো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নবাবি আমলে বাংলায় শুরু হয়েছিল বর্গি হানা। বর্ধমানের আদরা থেকে নৌকায় সরস্বতী নদী পেরিয়ে ডোমজুড়ের খাঁটোরা গ্রামে এসে বসতি গড়ে চন্দ্র পরিবার। গ্রামে বহু কালী মন্দির দেখে আশ্রয় নেন নরসিংহ চন্দ্র। স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। বাণিজ্যও শুরু করেন। ব্যবসায় লাভ হতেই চন্দ্র বাড়িতে শুরু হয় দুর্গার আরাধনা। ১১০৪ বঙ্গাব্দে পুজো শুরু হয়। ৩২৭ বছরে পা দিল তাঁদের বাড়ির পুজো।
প্রতিপদে দেবীর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ষষ্ঠীর দিন হয় ঘট স্থাপন। একদা মোষ বলির প্রচলন ছিল। এখন তা বন্ধ। এখন ফল বলি হয়। বিশালাকার একটি খাঁড়ার পুজো হয় দুর্গা দালানে। সন্ধিপুজোর সময় ১০৮ পদ্ম দিয়ে অর্ঘ্য দেওয়া হয়।
শোনা যায়, অতীতে বাড়ির কোনও সদস্য মারা গেলে বা অন্যত্র বিয়ে হয়ে গোত্রান্তরিত হওয়া মেয়েরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিলে পুজোর আয়োজন করেছেন। একদা পুজো বন্ধ হয়ে যাবে শুনে বাড়ির গৃহকর্ত্রী আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা পুজো সম্পন্ন করেন। রীতি মেনে একাদশীতে ভোজের আয়োজন হয় বাড়িতে।