অভিমানে মা দুর্গা ত্রিশ বছর উদয়নারায়ণপুরের মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো নেননি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অভিমানে মা দুর্গা ত্রিশ বছর উদয়নারায়ণপুরের মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজো নেননি। একদা মায়ের কাছে অনুযোগ করেছিলেন মুখোপাধ্যায় বাড়ির বউরা। দশমীর দিন মাকে বিদায় জানানোর আগে উমার কানে কানে উদয়নারায়ণপুরের কুরচি গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবারের গিন্নিরা বলেছিলেন, তোমার পুজোর দিনগুলিতে মা, নানা উপাচার জোগাড় করতে করতেই সময় চলে যায়। ভালো শাড়ি, গয়না পরার ফুরসত পাই না। অভিমানে উমা এই পরিবারের পুজো না নিয়ে বিনোদবাটির মুখোপাধ্যায় পরিবারে পুজো নেওয়া শুরু করেছিলেন। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা ফের বাড়িতে মা দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। আজও পুজো করে আসছে কুরচি গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবার। পুজো এবার ৩১৭ বছরে পদার্পণ করল।
দেবীর অভিমানের কারণে ৩০ বছর বন্ধ ছিল পুজো। জন্মাষ্টমীর দিন পুকুরের নীচে থেকে এক ডুবে মাটি তোলা হয়। ওই মাটি দিয়েই গড়া হয় প্রতিমা। দশমীর দিন ওই পুকুরেই বিসর্জন হয় প্রতিমার। আগে দামোদরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হত। পুজোর দিনগুলিতে মাকে অন্ন, ভাজা, পাঁচ রকমের তরকারি ছাড়াও খিচুড়ি ও লুচি ভোগ দেওয়া হয়। এখন বলিদান বন্ধ। সন্ধিপুজোর বিশেষ মুহূর্তে সিঁদুর দান প্রথা চালু রয়েছে। প্রতিমা বির্সজনের পর কাঠামো তুলে রাখা হয়। পরের বছর সেই কাঠামোর উপরই প্রতিমা গড়া হয়।