নিরলস পরিশ্রম ফলে কলকাতায় তৈরি হতে চলেছে সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট, বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতায় তৈরি হতে চলেছে সেমি কন্ডাক্টর প্ল্যান্ট। ‘সেমিকন্ডাক্টর কারখানা’ গড়ার ব্যাপারে দুনিয়ার অন্যতম নামী সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্ডারিজ়ের সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল। এগোচ্ছিলও। সম্প্রতি আমেরিকায় নরেন্দ্র মোদী এবং জো বাইডেনের বৈঠকে কলকাতায় কারখানা স্থাপনের আলোচনা হয়।
ভারত-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগে এই প্ল্যান্ট নির্মাণ হলে রাজ্যে কর্মসংস্থানের পথ প্রশস্ত হবে। কী ভাবে এই মার্কিন বিনিয়োগ কলকাতায় এল? নিজের ফেসবুক পোস্টে বিস্তারিত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী একটি বিবৃতিতে লেখেন, ‘সেমিকন্ডাক্টর সেক্টরে আমাদের রাজ্যে বৃহৎ আমেরিকান বিনিয়োগের দুর্দান্ত খবরের পেছনে রয়েছে আমাদের দীর্ঘ এবং নিরলস পরিশ্রম।’ তাঁর দাবি, গত এক বছরে রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ এবং ওয়েবেল চিপ-ডিজাইনিং এবং প্যাকেজিং স্টার্টআপের জন্য শীর্ষস্থানীয় সেমি কন্ডাক্টর কোম্পানিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে।
বৃহস্পতিবার নবান্নে কলকাতায় মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্যাথি জাইলস-ডিয়াজের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ছাড়াও ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, বহুদিন ধরেই চেষ্টা চলছে। বাংলায় সেমিকন্ডাক্টর ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে এবার। প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরের সময় ঘোষিত প্রকল্পটির জন্য রাজ্য সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ওয়েবেল এবং তথ্যপ্রযুক্তি দফতর বহুদিন ধরে ওই সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে। বাংলা ওই কারখানা তৈরির ঘোষণা সেই চেষ্টারই সুদূরপ্রসারী ফল বলে মনে করছেন মমতা।
মার্কিন কনসাল জেনারেলের সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের। বাংলার সামগ্রিক বিনিয়োগ-অনুকূল ভাবমূর্তি তুলে ধরা হয়েছে তাঁর সামনে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলায় প্রচুর চাকরি হচ্ছে। ৬টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর হচ্ছে। দুটো পাওয়ার প্ল্যান্ট করছে রাজ্য সরকার। দুটো বেসরকারি সংস্থাও তৈরি করছে। জিন্দলরাও পাওয়ার প্যান্ট করছেন সম্ভবত। আরও ২-৩টে স্টিল প্ল্যান্ট হচ্ছে। আমি তো গতকাল বর্ধমান রোড ধরে ফেরার সময় দেখলাম হুগলি, হাওড়া ভর্তি হয়ে গিয়েছে। দু’পাশে কোনও জমি খালি নেই। সব জায়গায় শিল্প হয়েছে। টোটালটাই ইন্ডাস্ট্রি।”