শর্টফিল্ম নিয়ে বিতর্কের জেরে রাজন্যা ও প্রান্তিককে সাসপেন্ড করল টিএমসিপি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সাসপেন্ড করা হল রাজন্যা হালদার এবং প্রান্তিক চক্রবর্তীকে। প্রান্তিক ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্যর সহ-সভাপতি। রাজন্যা ছিলেন সংগঠনের যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভানেত্রী। দু’জনের বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করল শাসকদলের ছাত্র সংগঠন।
একটি শর্টফিল্ম নিয়ে বিতর্কের জেরেই তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রান্তিক এবং রাজন্যার নতুন ছবি তৈরি হয়েছিল আরজিকরে নৃশংস ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে। মুক্তি পাওয়ার আগেই এই ছবি ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি একটি পোস্টার ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে টোপর মাথায় দিয়ে রাজন্যা হালদার। গায়ে ডাক্তারি পড়ুয়ার পোশাক। হাতে টেথোস্কোপ।পোস্টারের ওপরে লেখা আগমনী তিলোত্তমাদের গল্প। ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে মহালয়ায়। বিতর্ক তৈরি হয় সেখান থেকেই।
শুক্রবার রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ লিখেছিলেন, ‘‘আরজি কর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে একটি শর্ট ফিল্মের খবর এসেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ দলের মনোভাবও স্পষ্ট করে দিয়েছেন কুণাল। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমরা তিলোত্তমার ঘটনার ন্যায়বিচার চাই। এই স্পর্শকাতর বিষয়কে প্রচারে ব্যবহার করার চেষ্টার আমরা বিরোধী। যে কোনও ব্যক্তির স্বাধীনতা আছে সৃষ্টিতে। কিন্তু তদন্তাধীন এই মর্মান্তিক ঘটনাকে দলের সঙ্গে জড়িত কেউ যদি প্রচারে ব্যবহার করে, দল তার দায়িত্ব নেবে না। দল এ বিষয়ে কোনও অনুমতি দেয়নি, দল জানত না। যে বা যারা এর সঙ্গে জড়িত, খতিয়ে দেখে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বকে বলা হয়েছে।’’ কুণালের ওই পোস্টের এক ঘণ্টার মধ্যেই বিবৃতি দেয় টিএমসিপি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয় , ‘দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য প্রান্তিক চক্রবর্তী এবং রাজন্যা হালদারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এনিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।’ উল্লেখ্য রাজন্যাদের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিটির নাম ‘আগমনী: তিলোত্তমাদের গল্প’।