সদস্য সংগ্রহে নেমে জোর ধাক্কা! বঙ্গ BJP-র কান্ডকারখানায় না-খুশ দিল্লি
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চারশো পার হয়নি! মোদীর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। গদি বাঁচাতে শরিকদের কাঁধে ভর দিয়ে সরকার গড়েছেন মোদী। সাংগঠনিক স্তরে দুর্বলতা বেআব্রু হচ্ছে। লোকসভায় ২৪০টি আসনে আটকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। দলের সদস্য পদ নবীকরণে নেমে গোটা দেশেই বেগ পাচ্ছে পদ্ম বাহিনী। বাংলায় সরাসরি প্রভাব পড়ছে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর বিজেপির সদস্য হওয়ার ধুম পড়ে গিয়েছিল বাংলায়। অনলাইন হোক বা অফলাইন বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য জেলায় জেলায় ক্যাম্প বসেছিল। এবার ছবিটা পুরো উল্টো। গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সদস্য সংগ্রহের অভিযান কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে।
শোনা যায়, ২০১৯ সালে কেবলমাত্র অনলাইনেই বাংলা থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালে লোকসভায় ভোটে রাজ্যে দলের ভরাডুবির পর থেকে নিচুতলায় কর্মীরা কার্যত বসে গিয়েছেন। গোষ্ঠীর লোকেদের টিকিট বিলি, উনিশের জয়ী প্রার্থীদের কেন্দ্র বদলের মতো সিদ্ধান্তে অন্তর্ঘাত হয়েছে বলে চর্চা রয়েছে দলের অন্দরে। বর্তমান নেতৃত্বের দক্ষতা নিয়েও জেলা থেকে মণ্ডল স্তরে প্রশ্ন রয়েছে। রাজ্যস্তরের একাধিক পরাধিকারী এসি ঘরে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে বা সামাজিক মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে কাজ সারছেন। বুথে বুথে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তিতে ক্ষয় শুরু হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে গোটা দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করেছে বিজেপি। প্রায় মাসখানেক পর বাংলায় এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’লক্ষের মতো সদস্য হয়েছেন। চরম অসন্তুষ্ট বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শোনা যাচ্ছে, সল্টলেক পার্টি অফিসে আয়োজিত বৈঠকে দু’দিন আগেই রাজ্য নেতাদের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মঙ্গল পান্ডে। আরজি কর পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও সদস্য অভিযানে পার্টির ছন্নছাড়া হাল দিল্লি নেতাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।