শনিবার নবান্নে চলল জরুরি বৈঠক, টাইমলাইন বেঁধে শুরু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের কাজ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বন্যায় ভাসছে ঘাটাল। মোদী সরকারের বঞ্চনার যাঁতাকলে আটকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। লোকসভা ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য নিজের খরচে ঘাটালের ফি বছরের বন্যা রুখবে।
পাঁচ বছর নয়। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শেষ হবে আরও আগে। ঘাটালের মানুষকে বছর বছর বন্যার হাত থেকে রেহাই দিতে চার বছরেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পের জন্য সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। শনিবার ঘাটালের সাংসদ দেব, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া-সহ পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
ডিভিসি মাত্রাতিরিক্ত জল ছাড়ায় বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে জেলায় জেলায় ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্যের কোষাগার থেকেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকল্পের জন্য কোথায় কত জমি লাগবে, কত কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের প্রয়োজন ইত্যাদি বিষয়ে প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বেশ কিছু সমীক্ষা বাকি রয়েছে। কাজ শেষ করতে প্রায় দু’বছর সময় লাগার কথা। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ করে সম্পূর্ণ প্রকল্পের কাজ চার বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করা যায় কি-না, সে বিষয়ে আলোচনা হয় নবান্নে। এক বছরের মধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। দেবও কিছু প্রস্তাব দেন। সমস্ত প্রস্তাব-সহ এদিনের আলোচনার রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হবে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে শিল্পদপ্তর ও তার অধীনস্ত ওয়েস্ট বেঙ্গল মিনারেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। যেসব নদী এবং খাল থেকে পলি উত্তোলন করলে বালি পাওয়া যায় না, সেসব ক্ষেত্রে পলি তোলার কাজ মিনারেল ডেভেলপমেন্টের বদলে সেচদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে এদিন আলোচনা হয় বলে খবর। প্রসঙ্গত, শিলাবতী-সহ দু’টি নদীতে বালি না ওঠার কারণে বেশ কয়েকবার পলি তোলার কাজের দরপত্র বাতিল করতে হয়েছে।