উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

অতিবৃষ্টি ও ধসের জোড়া ফলায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ, আজ রওনা দিচ্ছেন মমতা

September 29, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দক্ষিণের পাশাপাশি প্রকৃতির রোষে পড়েছে উত্তরবঙ্গ। পাহাড়ে ধস, সমতলে আকাশ ভাঙা বৃষ্টি, জোড়া ধাক্কায় বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। নতুন করে পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৭টি গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি। নদীর জলে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম। জলবন্দি মানুষ। পুজোর মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পর্যটন ব্যবসায়ীদের। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে আজ, রবিবার শিলিগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমতল ও পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।

দার্জিলিংয়ের সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ি, কার্শিয়াং ও মিরিকের প্রায় ১২টি জায়গায় ধস নেমেছে। বাতাসিয়া ১১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, লিংছে-বিজনবাড়ি রাস্তা ধসের কারণে বিপর্যস্ত। কালিম্পংয়ের অবস্থাও একই। ধসের থাবায় গোরুবাথানের রংবো, পোখরেবং, কাহাল এবং পেডংয়ের সাকিয়ং। রাস্তা ধস বিধ্বস্ত। যান চলাচল বন্ধ। গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টির পরিমাণ যথাক্রমে ১৬০.৬ এবং ১৩০ মিলিমিটার। লাগাতার বৃষ্টির জেরেই পাহাড়ে ধসের দাপট বেড়েছে। সিকিম ও কালিম্পংয়ের লাইফ লাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক ধস-বিধ্বস্ত, ওই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।

সমতলেও বৃষ্টি চলছে। শিলিগুড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ ২১৩.৪ মিলিমিটার। শেষ ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে ১৬৩.৭ এবং কোচবিহারে ৫৩.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে তিস্তা, মহানন্দা, বালাসন, চামটা, পঞ্চনই প্রভৃতি নদী ফুঁসছে। তিস্তার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। তিস্তার জলে কালিম্পংয়ের তিস্তাবাজার, জলপাইগুড়ির লালটং, চমকডাঙি, বোয়ালমারি, চ্যাংমারি, টাকিমারি, ধর্মপুর, মণ্ডলঘাট প্রভৃতি এলাকা প্লাবিত। এনএইচপিসির বিভিন্ন ড্যাম থেকে অবাধে জল ছাড়া হচ্ছে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়তে হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #Mamata Banerjee

আরো দেখুন