ভারতের বোলিং, ব্যাটিংয়ের দাপটে আড়াই দিনের টেস্টেও চাপে বাংলাদেশ, ২৮৫ রান তুলে ইনিংস ডিক্লিয়ার রোহিতদের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় তথা অন্তিম টেস্ট ম্যাচটি কানপুরের গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয়েছে। খারাপ আউটফিল্ডের কারণে ২ দিন খেলা সম্ভব হয়নি। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) চতুর্থদিনে পা রেখেছে এই টেস্ট ম্যাচ। অর্থাৎ সাকুল্যে আড়াই দিনের টেস্ট।
আড়াই দিনে টেস্ট জিততে হলে অতিমানবীয় ক্রিকেট খেলতেই হবে ভারতকে। যার শুরুটা এদিন সকালে করেন বোলাররা। মাত্র ২৩৩ রানে বাংলাদেশকে অলআউট করে দেন বুমরাহ-আকাশদীপ-অশ্বিনরা। চতুর্থ দিনেই নজির গড়েছেন ভারতীয় স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা। ২৩৩ রানের মাথায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয়। সফররত দেশের শেষ উইকেটটি তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। খলিল আহমেদকে ০ রানেই সাজঘরে ফেরান জাড্ডু। সেই সুবাদেই তিনি ঢুকে পড়লেন টেস্টে ৩০০ উইকেটের ক্লাবে। ভারতীয়দের মধ্যে সপ্তম বোলার হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করলেন তিনি।
কিন্তু এর পর যেটা হল সেটা এককথায় অভাবনীয়। ২৩৩ রানের জবাব দিতে এসে রোহিত শর্মা যশস্বী জয়সওয়ালরা যে ভাবে বাংলাদেশ বোলারদের আড়ংধোলাই শুরু করলেন, সেটা টি-২০ ক্রিকেটেও সবসময় দেখা যায় না। টিম ইন্ডিয়া ৫০ রানে পৌঁছে যায় ৩ ওভার শেষ হওয়ার আগেই। আর ১০০ রানে পৌঁছে যায় ১০.১ ওভারে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ ওভার ৪ বল খেলে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ডিক্লিয়ার ঘোষণা করে টিম ইন্ডিয়া। জয়সওয়াল করেন ৭১ বলে ৮২ রান। গিল করেন ৩৬ বলে ৩৯ রান। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। কোহলি ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন। রাহুল করেন ৪৩ বলে ৪৮। অতএব কী দাঁড়াল, আড়াই দিনে টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে ভারত মাত্র ৩৪.৪ ওভারে ২৮৫ রান তুলে দিল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে গেল ৫২ রানে।