ডাক্তারদের ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে, স্পষ্ট জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, ১৪ অক্টোবর। আজ সোমবারের শুনানি শেষে জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন সিবিআইকে ফের পরবর্তী স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ, সোমবারের শুনানিতে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সিবিআই। নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?
সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, ‘সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক।’
রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো এবং শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। সে কথা শুনে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। রাজ্য আরও জানিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরে কাজ থমকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলে কাজ শুরু করা যাবে। যদিও তখন সিবিআই জানায়, “ঘটনার পরে ৫ দিন কাজ হয়েছে। এখন আর আমাদের আপত্তি থাকবে কেন?”
সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার অভিযোগের পর জুনিয়র ডাক্তাররা ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু সাগর দত্ত কাণ্ডের যুক্তি শুনতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট। বরং প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারদের ওপিডি (আউট পেশেন্ট ডিপার্টেমেন্ট) এবং আইপিডি (ইন পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট) সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে সিনিয়র-জুনিয়র আলাদাও করেননি প্রধান বিচারপতি। চিকিৎসক মানে সবাইকেই বুঝিয়েছেন।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন করেন, “ডাক্তাররা কি কাজে যোগ দিয়েছেন?” ইন্দিরা জয়সিংহ বলেন, “হ্যাঁ জুনিয়র ডাক্তাররা সবাই ইমার্জেন্সি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন”।
প্রধান বিচারপতি তা শুনে বলেন, “আপনি আমার কথার উত্তর দিন। আমার কথা পরিষ্কার। ডাক্তাররা কি ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন?” তা শুনে ডাক্তারদের আইনজীবী ফের বলেন, হ্যাঁ, সবই তো ইমার্জেন্সি সার্ভিসের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রধান বিচারপতি ফের বলেন, “আমি ওপি়ডি ও আইপিডি সার্ভিসের কথা বলছি”। এর পরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেন, “ডাক্তারদের ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে”।