উদয়নারায়ণপুরের গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের পুজোয় উমাকে অষ্টমীতে আটটি গলদা চিংড়ি ভোগ দেওয়া হয়
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উদয়নারায়ণপুরের গজা গ্রামের গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারের গোলা বাড়ির পুজো এবার ১৭৬ তম বর্ষে পদার্পণ করল। অতীতে একটি পুজো হতো। তবে ১৭৬ বছর আগে নীলের গোলা তৈরি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ বাধে। সে কারণে পুজো পৃথক হয়ে যায়।
একটি পুজো গোলা বাড়ির পুজো হিসেবে পরিচিত। পরিবারের সদস্য অরুণাভ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, নীলের গোলা ছিল বলে বাড়ি গোলাবাড়ি হিসেবে পরিচিত। পারিবারিক বিবাদের পর সবকিছু ভাগাভাগির পাশাপাশি ঠাকুরের মূর্তির কাঠামোও ভাগ হয়। বাম দিকের তিনভাগের একভাগ বাড়িতে এনে ঠাকুর তৈরি করে পুজো শুরু। জন্মাষ্টমীর দিন বাড়ির পুকুরে ডুব দিয়ে মাটি তুলে প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয়। তারকব্রহ্ম মতে পুজো।
এ বাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য, পুজোর কাজকর্ম এবং বলিদান পরিবারের সদস্যদেরই করতে হয়। প্রতিদিন খিচুড়ি, পায়েস সহ আট রকম ভোগ দেওয়ার রীতি। অষ্টমীতে উমাকে আটটি গলদা চিংড়ি ভোগ দেওয়ার রীতি। পুজোর আগে বাজার থেকে বড় সাইজের জ্যান্ত গলদা কিনে বাড়ির পুকুরে ছাড়া হয়। অষ্টমীতে পুকুরে জাল ফেলে ওই চিংড়ি ধরে ভোগ দেওয়া হয় দুর্গাকে।