আমার মেয়ের বিচার হবে না? প্রশ্ন সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগে মৃতার মায়ের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শুক্রবার রাতে সাগর দত্ত হাসপাতালে মারা গিয়েছেন ২৯ বছরের রঞ্জনা সাউ। মৃতার পরিজনের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের উপর চড়াও হয় মৃতার বাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকেই ফের কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পুলিশ প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মৃত তরুণীর চার আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে। মৃত তরুণীর পরিবারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রশ্ন উঠছে, চিকিৎসায় গাফিলতির কোনও শাস্তি হবে না? প্রশ্ন তুলেছে মৃতার পরিবার।
রোগীদের দুর্ভোগ চলছেই। রোগীদের অসহায়তার দিকে ফিরেও তাকাননি আন্দোলনরত চিকিৎসকেরা। কর্মবিরতির জেরে বহু মুমূর্ষু রোগী পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যান। এমনকী, হাসপাতালে ভর্তি রোগীরাও চিকিৎসা না পেয়ে বন্ড দিয়ে নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রোগীদের আত্মীয়-পরিজনের প্রশ্ন, গরিবদের মেরে কার কী লাভ হচ্ছে?
মৃতার মা কিরণ সাউ বলেন, “আমরা মেয়েকে হারালাম। চিকিৎসাটা পর্যন্ত দেয়নি। আর গ্রেপ্তার করা হল আমাদেরই বাড়ির ছেলেদের। অথচ যাঁদের জন্য মেয়ে মারা গেল, তাঁদের কিছু হল না। গরিব মানুষের জন্য কি বিচার নেই? আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার হবে না?”
সাগর দত্ত হাসপাতালে শনি ও রবিবার কোনও চিকিৎসা হয়নি বলেই অভিযোগ। রোগীর পরিবারের লোকেরা বন্ড সই করে রোগীদের নার্সিংহোমে নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রবিবার এরকম বহু রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের চূড়ান্ত ভোগান্তির সাক্ষী থেকেছে সাগর দত্ত হাসপাতাল। সামান্য ড্রেসিং থেকে দূরারোগ্য ক্যান্সারের চিকিৎসা অবধি হচ্ছে না।