আলেকজান্দ্রিয়ার হারানো লাইটহাউস, স্বামীনারায়ণ মন্দিরকে থিম করে পুজো মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে হুগলিতে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আলেকজান্দ্রিয়া শহর মিশরে অবস্থিত। গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের বিশ্ব বিজয়ের অন্যতম স্মারকচিহ্নের শহরে একদা গড়ে উঠেছিল একটি লাইটহাউস। ইতিহাস বলে, আলেকজান্ডারের বংশজ প্রথম টলেমি, সুদৃশ্য ও স্থাপত্যের উৎকর্ষের নিদর্শন হিসেবে সেই মিনার গড়েছিলেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রকোপে একদিন তাঁর সাগর সমাধি হয়। পরবর্তী সময়ে প্রত্নতাত্ত্বিকরা সেই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে তার গঠনের একটি কল্পচিত্র তৈরি করেছিলেন। বলা হয়, তা প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য স্থান ছিল।
আলেকজান্দ্রিয়ার সেই হারানো মিনারকেই এবার থিম হিসেবে তুলে আনছে কোন্নগরের মনসাতলা সর্বজনীন। প্রাচীন পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য লাইটহাউসটি মাথা তুলছে ক্লাবের মাঠে। ইতিহাসকে তুলে ধরার তাগিদে ব্যবহার করা হবে প্রজেক্টার ও সাহায্য নেওয়া হবে আধুনিক যন্ত্রবিদ্যার। মিনারের মাথায় ঘূর্ণায়মান আলো রাখা হবে। সাবেক সেই মিনারেই দেখা দেবেন দেবী দুর্গা। এখানে দেবীর কোনও থিম থাকছে না। শুধু একচালার বদলে তিনচালাতে সাবেক ধাঁচেই থাকবেন দেবী। ক্লাব কর্তা সন্দীপন রায় বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের কর্মকর্তা তপন বল্লভ ওই অনবদ্য থিম গড়ে তুলেছেন। থিমের অনুকরণেরই আলোকসজ্জা থাকবে।’
ভারতের বাইরে অন্যতম বিরাট আয়তনের হিন্দু মন্দির হিসেবে লন্ডনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরের বিশেষ পরিচিতি। সেই মন্দিরকেই এবার দেবী আরাধনার জন্য বেছে নিয়েছে শ্রীরামপুরের পাঁচ ও ছয়ের পল্লি সর্বজনীন। ফাইবার থেকে প্লাইউড নানা উপাদানে সেই মন্দিরের স্থাপত্যকে শ্রীরামপুরের ময়দানে তুলে আনার প্রয়াস চলছে। এই পুজো সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুজো নামে পরিচিত। পুজো উদ্যোক্তা শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সন্তোষ(পাপ্পু) সিং বলেন, ‘ষাট ফুটের মণ্ডপই আমাদের অন্যতম দ্রষ্টব্য। সঙ্গে থাকবে সাবেক ধাঁচের প্রতিমা আর আলোকসজ্জাতেও আমাদের থিম থাকবে। সেখানে বনসৃজনের বার্তা দেওয়া হবে।’