পুজোর মধ্যে শহরের দু’টি মেট্রো রুট বন্ধ থাকবে, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত দেড় বছরে ধারাবাহিকভাবে মেট্রো পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে, যা মেট্রোর সার্বিক পরিচালন ব্যবস্থা সম্পর্কে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। চলতি বছরের মে মাসে পার্ক স্ট্রিট ও এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন এক হাঁটু জলে ডুবে গিয়েছিল। টানা ৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিল মহানগরীর লাইফ লাইন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই সময় কলকাতায় ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী সময়ে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তারপরও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, রেকের সমস্যা সহ একাধিক বিভ্রাটে বারবার থমকে গিয়েছে মেট্রোর চাকা।
এবার দুর্গাপুজোর মধ্যে শহরের দু’টি মেট্রো রুট বন্ধ থাকবে। সপ্তমী, অষ্টমী-নবমী, দশমী এবং একাদশীতে জোকা-মাঝেরহাট এবং কবি সুভাষ-হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (রুবি) রুটে মেট্রো চলবে না। তাই নিয়ে শহর ও শহরতলির লক্ষ লক্ষ যাত্রীর মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। কেননা বেহালা, জোকা, তারাতলা, সখেরবাজার, ইএম বাইপাস সহ জোড়া মেট্রো করিডরের যাত্রাপথে বহু বিখ্যাত দুর্গাপুজো হয়। ফলে এই মেট্রো রুটের পুজো দর্শন থেকে বঞ্চিত হবেন সাধারণ মানুষ। একাধিক পুজো কমিটির তরফে মেট্রো রেলের এই সিদ্ধান্তকে বিমাতৃসুলভ পদক্ষেপ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের মূল দিনগুলিতে কেন শহরের মেট্রো পথ বন্ধ রাখা হল? জবাবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মেট্রো ভবনের এক শীর্ষকর্তা বলেন, কর্মীর চরম আকাল চলছে। টিকিট কাউন্টারের কর্মচারী থেকে মেট্রো চালক সমস্ত স্তরে জোড়াতাপ্পি দিয়ে চলছে রোজকার ব্যবস্থা। কিন্তু পুজোয় যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকবে। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা চালু রাখা হবে। তাই অন্য জোন থেকেও ডেপুটেশনে প্রচুর কর্মী আনা হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কুলানো যাচ্ছে না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে জোড়া মেট্রো রুট পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রয়েছে।