রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

জমছে না জমায়েত, বঙ্গ BJP-র দৈন্যদশায় ক্ষিপ্ত দিল্লির গেরুয়া নেতারা

October 2, 2024 | 2 min read

ছবি: ফাইল চিত্র

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কোনও মতেই লোক হচ্ছে না বিজেপির কর্মসূচিতে, জমছে না জমায়েত। রাজ্য সভাপতি থেকে বিরোধী দলনেতা, বঙ্গ বিজেপির তাবড় নেতারা হাজির থাকা সত্ত্বেও দলের একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি ডাহা ফেল করছে। রীতিমতো সুপার ফ্লপ। আরজি কর কাণ্ডের ফসল ঘরে তুলতে গিয়েও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক দৈন্যদশায় ভুগছে বঙ্গ বিজেপি।

বিজেপির কাছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা রয়েছে, কিন্তু তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জনমানসে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দলের বঙ্গ শাখা দুর্নীতি-কেলেঙ্কারির পীঠস্থান হয়ে উঠেছে। বিধানসভা ভোটের পরবর্তী সময়ে জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি সুকান্ত মজুমদাররা। আরজি করের মতো ঘটনায় পথে নামতে দেরি করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। দিল্লির নেতাদের মূল্যায়ন, ফাঁকা মাঠে ‘গোল’ করেছে বামপন্থীরা এবং অতিবাম কিছু সংগঠন। লোক দেখানো ‘পাশে থাকার বার্তা’ দিতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের তাড়া খেয়েছেন অগ্নিমিত্রা, অভিজিৎ গাঙ্গুলির মতো বিজেপি নেতারা। রাজ্য নেতাদের দক্ষতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠছে দিল্লিতে।

বিজেপির নেতাদের বক্তব্য, শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা, পার্টির ধর্না অবস্থানে লোক জোগাড় করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠছিল। নেতা-নেত্রীরা মঞ্চে বসার জন্য ধাক্কাধাক্কি করতেন। কিন্তু তাঁদের বক্তব্য শোনার লোক তেমন পাওয়া যেত না। পথচলতি মানুষের আগ্রহ ছিল না। অথচ প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া, জল, বিদ্যুৎসহ যাবতীয় বিল বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ধর্মতলায় অবস্থানের শেষদিনে লজ্জা ঢাকার জায়গা মিলছিল না। হাতে গোনা কয়েকজনকে ধরেবেঁধে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করতে হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয় কদিন আগেই। হাজরা মোড়ে মঞ্চ আলো করে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি, বিরোধী দলনেতা-সহ একগুচ্ছ নেতা। সেখানেও খালি ছিল দর্শক-শ্রোতার আসন। যতীন দাস মেট্রো স্টেশনের সামনের জমায়েতে মেরেকেটে দুশো মানুষ ছিলেন কিনা সন্দেহ! কিন্তু সেদিনও কয়েক লক্ষ টাকা বিল জমা পড়েছে। লোক না-থাকলেও খরচ বহর কমছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#burmingham, #West Bengal, #bjp, #BJP West Bengal, #west bengal BJP, #politics

আরো দেখুন