রামায়ণ, মহাভারতে কীভাবে এসেছে মহালয়ার প্রসঙ্গ, কী তার গুরুত্ব?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহালয়া থেকেই শুরু হয় দুগ্গাপুজোর কাউন্টডাউন। আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর সূচনা হল আজ থেকে। মহালয়ার দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত রয়েছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ মহান আলয়।
কেন এই দিনে তর্পণ করা হয়? কী বলছে পুরাণ?
দেবরাজ ইন্দ্রকে ১৬ দিনের জন্য মর্তে তর্পণ করতে পাঠিয়েছিলেন যমরাজ। সেই ১৬ দিনই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত। সেই থেকেই; মহালয়ার দিন এবং তার আগের ১৫ দিন পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে জলদান করা হয়।
শাস্ত্র বলে, অকালে কোনও পুজো করলে ইষ্ট দেবতা ও প্রয়াত পিতা -মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তর্পণ করতে হয়। রামায়ণে, রামচন্দ্র, দেবী দুর্গার অকাল বোধন করেছিলেন। নিয়ম মেনে তাঁকেও পুজোর আগে করতে হয়েছিল তর্পণ। কথিত আছে, রামচন্দ্র মহালয়ার দিন পিতৃতর্পণ করেছিলেন। সেই থেকেই শুরু হয় তর্পণের রীতি।
কর্ণ দানবীর হিসেবে খ্যাত ছিলেন। সকলকে তিনি রত্ন, সোনা-দানা, নানাবিধ জিনিস দান করেছেন কিন্তু তিনি কখনও পিতৃপুরুষকে জল -খাবার দেননি। কর্ণ তাঁর পিতৃ পরিচয় জানতেন না। জীবনের প্রায় শেষ লগ্নে এসে কুন্তীর থেকে সে জানতে পারে আসল সত্য। তারপর তর্পণও করে। তর্পণ শেষে কবজ-কুণ্ডল দান।