রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

এবার উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে এসে হস্তীশাবকের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেতে পারেন পর্যটকরা

October 2, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার উত্তরবঙ্গের জঙ্গলে এসে হস্তীশাবকের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেতে পারেন পর্যটকরা। গরুমারার ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পিলখানায় কুনকি হাতিদের একাধিক শাবক রয়েছে। পাশেই গাছবাড়ির সামনে ফাঁকা মাঠ রয়েছে। পর্যটকরা ধূপঝোরা এলিফ্যান্ট ক্যাম্পে যেভাবে বিশ্বকর্মাপুজার সময় কুনকি হাতির সামনে গিয়ে পুজো করে থাকেন, তেমনি মাহুতের উপস্থিতিতে হস্তীশাবককে সেই ফাঁকা জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হবে। শাবকের সঙ্গে অল্প পরিসরে দৌড়াদৌড়ি করা, তাকে আদর করা থেকে তারসঙ্গে সেলফি তোলার সুযোগ পেতে পারেন পর্যটকরা। এই পরিষেবার জন্য অবশ্যই আলাদা ফি দিতে হবে। একই প্যাকেজে হাতির স্নান দেখার সঙ্গেই শামিল হওয়া যাবে আদিবাসী নৃত্যে।

এদিকে, ডুয়ার্সে পর্যটকদের নিরাপত্তায় চালু হল ‘ট্যুরিস্ট পুলিস’। যারা শুধুমাত্র পর্যটকদের অভাব-অভিযোগ খতিয়ে দেখবে। মঙ্গলবার থেকে পুলিসের উদ্যোগে লাটাগুড়ি, মূর্তি, নেওড়া সহ সাতটি জায়গায় চালু হয়েছে ‘ট্যুরিস্ট বন্ধু’ বুথ। ট্যুরিস্ট পুলিসদের টহল দেওয়ার জন্য থাকছে দু’টি গাড়ি। পুজোয় কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ডুয়ার্সে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবার উদ্বোধন করেন জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত।

গোরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও দ্বিজপ্রতিম সেন বলেন, কুনকি হাতিদের গায়ে হাত না দিয়ে কিংবা কোনওরকম বিরক্ত না করে তাদের সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন পর্যটকরা। এজন্য ধূপঝোরায় সেলফি জোন করা হচ্ছে। চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের সবুজ সঙ্কেত পেলেই আমরা ওই সেলফি জোন চালু করে দেব। একই প্যাকেজের মধ্যে পর্যটকরা ধূপঝোরায় মূর্তি নদীতে হাতির স্নান দেখতে পারবেন। সন্ধ্যায় যোগ দিতে পারবেন আদিবাসী নৃত্যে। অনলাইন ও অফলাইনে প্যাকেজের টিকিট পাওয়া যাবে।

এবার পুজোয় যাঁরা গোরুমারায় বেড়াতে আসছেন, কার সাফারিতে তাঁদের জন্য জুড়ছে নয়া ডেস্টিনেশন ছাওয়াফেলি। লাটাগুড়ি থেকে জিপসিতে চেপে নেওড়া জঙ্গল ক্যাম্প পার করে এগিয়ে গেলে একদিকে গোরুমারার গহীন জঙ্গল, অন্যদিকে, সবুজে ঘেরা চা বাগান। কিছুটা দূর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নেওড়া নদী। অপরূপ সৌন্দর্যে মোড়া এই পরিবেশেই বনবাসীদের হাতে তৈরি খাবার চেখে দেখার ব্যবস্থা করেছে বনদপ্তর। জলপাইগুড়ির ডিএফও (টেরিটোরিয়াল) বিকাশ ভি বলেন, ছাওয়াফেলিতে কার সাফারির ড্রপ পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখানে বনবাসীদের হাতে তৈরি খাবারের স্বাদ যেমন পর্যটকরা চেখে দেখতে পারছেন, তেমনই তাঁদের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী কেনারও সুযোগ থাকছে। লাটাগুড়ি হোটেল অ্যান্ড রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ছাওয়াফেলি খুবই সুন্দর জায়গা। নেওড়া নদীতে হাতির দল জল খেতে আসে। প্রচুর পাখি দেখা যায়। ময়ূর তো আছেই। কার সাফারিতে নতুন ভাবনা পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#selfie, #Gorumara National Park, #special packages

আরো দেখুন