পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

প্রতিপদের আগে থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ঢুঁ উৎসাহীদের

October 4, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: শনিবার ক্লাস হওয়ার পর ছুটি পড়ে যাচ্ছে কলেজে। তার আগে বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে একটু মণ্ডপে ঘোরাঘুরি চলল। এদিন সন্ধ্যায় হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজোর মণ্ডপে দেখা মিলল অনিকেত, সঞ্চারী, শুভ্রা, সঙ্কেতদের। কেউ বঙ্গবাসী, কেউ আবার জয়পুরিয়া কলেজের পড়ুয়া। বন্ধুদের সঙ্গে চলল প্যান্ডেল-হপিং, চুটিয়ে খাওয়া-দাওয়া।

ইতিমধ্যেই হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজোর উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখনও মণ্ডপ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাতেও কী! রাস্তায় মণ্ডপের বাইরে দাঁড়িয়ে দূর থেকেই চলছে প্রতিমা দর্শন। হাতিবাগানে কেনাকাটার ফাঁকেও প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখার আশায় উঁকি মারলেন অনেকে। পাইকপাড়া, দমদম সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা অনেককেই সেখানে ঢুঁ মারতে দেখা গেল। অবশ্য বিপুল ভিড় ছিল না।

হাতিবাগান সর্বজনীন, কাশী বোস লেন, হাতিবাগান নবীন পল্লি, সিকদার বাগান— সব মণ্ডপের বাইরেই আমজনতার ইতিউতি আনাগোনা। সব মণ্ডপেই কমবেশি চলছে শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচ। জয়পুরিয়ার পড়ুয়া অনিকেত সামন্তের কথায়, টিভিতে দেখলাম উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। তাই ভাবলাম কলেজের পর বন্ধুরা মিলে ফাঁকায় ফাঁকায় ঠাকুর দেখে আসি। কিন্তু, এখানে এসে দেখলাম, প্যান্ডেলে এখনও আমজনতার প্রবেশ নিষেধ। তবে, বাইরে থেকে যতটা দেখা গেল, তাতেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে হল। আবার আসব পুজোর মধ্যে।

অন্যদিকে, বেহালায় বিভিন্ন বড় পুজোর বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে। জনসাধারণের জন্যও অবারিত দ্বার। ভিড় সেভাবে চোখে না পড়লেও অনেকেই উঁকি মেরেছেন প্যান্ডেলে, বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের আগ্রহ দেখা গিয়েছে। অবশ্য বিকেল থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। তার জেরেই প্রতিমা দর্শনে আগ্রহ কমে যায় বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। কসবা কিংবা দক্ষিণ কলকাতার পুজো মণ্ডপগুলিতে উৎসাহীদের আনাগোনা নজরে পড়ে। বিশেষ করে যাঁরা কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলেন, তাঁদের আগ্রহ ছিল সুযোগ পেলে ঠাকুর দেখা।

অন্যদিকে, প্রতিপদের সকালে শহরের ৯টি বড় পুজো প্যান্ডেল পরিদর্শন করেন কলকাতা পুলিস কমিশনার মনোজকুমার বর্মা। তিনি বলেন, ‘কলকাতা পুলিস দুর্গাপুজো নিয়ে সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে ভিড় নিয়ন্ত্রণ, সবটাই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের শীর্ষ আধিকারিকরা বেশ কয়েকবার প্যান্ডেলগুলি পরিদর্শন করেছেন। এদিন চূড়ান্ত পর্যায়ে মণ্ডপগুলি পরিদর্শন করলাম। যদি শেষ মুহূর্তে কোথাও কোনও কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়, তা পর্যালোচনা করে উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’ শহরবাসীকে শারদীয়ার শুভেচ্ছাও জানান পুলিস কমিশনার।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #durga Pujo, #Pandal Hopping, #Crowds, #Durga pujo 2024

আরো দেখুন