পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

পুজোর সময় কাটোয়ার ‘খেপিমা’কে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয় কেন?

October 4, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কাটোয়ার ঘোড়ানাশ গ্রামের রায়বাড়ির খেপিমার পুজোয় এক বিশেষ রীতি দেখা যায়। দেওয়ালে ফুটো করে প্রতিমাকে মন্দিরের পিছনের গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। কথিত আছে, ঝড়ের সময় প্রতিমাকে ওইভাবে বেঁধে গিয়েছিলেং খোদ দেবী।

ঘোড়ানাশ গ্রামে রায় পরিবারের দুর্গা ‘খেপিমা’ নামেই পরিচিত। ১৭৫১ সালে নবাব আলিবর্দি খাঁর আমলে পুজো শুরু হয়। রায় পরিবারের পূর্বপুরুষ ভবানন্দ রায় নবাবের দেওয়ান ছিলেন। তিনি ঘোড়ানাশ এলাকার জমিদার ছিলেন। ভবানন্দ রায়ই পুজো শুরু করেছিলেন। পুজোর অনেক নিয়মনীতি রয়েছে। দেবীর প্রতিমার রঙ হয় শিউলি ফুলের বোঁটার মতো।

রায় বাড়ির পুজোয় প্রথম থেকে কিন্তু দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমা বেঁধে রাখার রীতি ছিল না। ১৯৪৩ সালে পুজোর সময় ঝড় হয়েছিল। তখন তালপাতার ছাউনির মন্দির ছিল। ঝড়ে প্রতিমা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য নাকি দেবী স্বয়ং দড়ি দিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমা বেঁধে রাখেন। মন্দিরের পিছনে একটি ডুমুর গাছ ছিল। মায়ের বেদির পিছনে মন্দিরের দেওয়ালে ছিদ্র রয়েছে। সেই ছিদ্র দিয়েই দড়ি ঢুকিয়ে গাছের সঙ্গে প্রতিমার কাঠামো বেঁধে রাখা হয়েছিল। আজ ডুমুর গাছ না থাকলেও মন্দিরের পিছনে দেবদারু গাছের সঙ্গে প্রতিমা বেঁধে দেওয়া হয়।

প্রতিপদে লক্ষ্মীসাগর পুকুর থেকে দেবীর ঘট ভরে এনে, ছাগবলি দিয়ে পুজো শুরু হয়। মন্দিরের পিছনের পুকুর থেকে জল তুলে দেবীর ভোগ রান্না হয়। পুজোয় দেবীকে অন্নভোগ দেওয়া হয়। ভাতের সঙ্গে দেওয়া হয় চিংড়ি, পুঁইশাক, বলির পাঁঠার মেটে চচ্চড়ি। খেপিমার বিসর্জনেও নানা রীতি রয়েছে। আমডাঙা গ্রামে বুড়ো শিবের সঙ্গে দেবীর দেখা করানো হয়। তারপর পাটকাঠির মশাল জ্বেলে ব্রহ্মাণী নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#during Puja, #Khepi Maa, #During Puja 2024, #katwa

আরো দেখুন