তড়িঘড়ি জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পাঁচ প্রতিনিধির মনোনয়ন, ভূ-স্বর্গ দখলে মরিয়া BJP?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নির্বাচন মিটেছে, ভোটগণনা ৮ অক্টোবর। জম্মু কাশ্মীরের নতুন সরকার গঠনের আগেই বিধানসভায় পাঁচজন সদস্যের মনোনয়ন দিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র! এহেন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্ব এই পদক্ষেপকে গণতন্ত্র ও সংবিধানের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহাকে পাঁচজন প্রতিনিধির মনোনয়ন অনুমোদন না-করার আবেদন জানিয়েছে কংগ্রেস।
জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর সংশোধনী অনুযায়ী, বিধানসভায় পাঁচজন মনোনীত সদস্য থাকবেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শে সদস্যদের অনুমোদন দেবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। সংশোধন অনুসারে মনোনীত সদস্য-সহ বিধানসভায় মোট সদস্য সংখ্যা হবে ৯৫। সে’রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে তাদের সঙ্গে ৪৮ জন সদস্য থাকতে হবে। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের অধীনে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে পাঁচজন সদস্যকে মনোনীত করার ক্ষমতা রয়েছে। সেই ক্ষমতাবলে পাঁচজন প্রতিনিধিকে মনোনয়ন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রবিন্দর শর্মা বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের আগে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পাঁচজন বিধায়কের মনোনয়নের বিরোধিতা করছেন তাঁরা। এ ধরনের যেকোনও পদক্ষেপ গণতন্ত্র, জনগণের রায় ও সংবিধানের ওপর আঘাত। কংগ্রেস নতুন সরকার গঠনের পরে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তাঁর মতে, লেফটেন্যান্ট গভর্নরের শুধুমাত্র মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করা উচিত, যা নির্বাচনের পরে গঠিত হবে। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, নির্বাচনের পর সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সংখ্যালঘু মর্যাদা পরিবর্তন করার জন্য মনোনয়নের বিধানের অপব্যবহার করা ক্ষতিকারক হবে। সরকার গঠনের আগে এই ধরনের মনোনয়ন ‘অসাংবিধানিক’ বলেই দাবি করেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল প্রতিকূল হতেই গদিতে বসতে মরিয়া বিজেপির এহেন পদক্ষেপ ঘিরে নানান প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।