পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

ইছাপুরের ভট্টাচার্য বাড়িতে শিবলিঙ্গকে প্রথমে দুর্গা রূপে পুজো করা হয়

October 6, 2024 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইছাপুরের ভট্টাচার্য বাড়িতে ২৭৭ বছর ধরে পুজো হচ্ছে। এই পরিবারের পূর্বপুরুষ রামচন্দ্র তর্কালঙ্কার বেলগাছের নীচে থাকা শিবলিঙ্গকে মা দুর্গা রূপে স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই থেকে শিবলিঙ্গকে মা দুর্গা রূপে পুজো করা হয়। তাঁদের বিশ্বাস, শিবলিঙ্গের মধ্যেই মা আছেন। প্রথমে শিবলিঙ্গকে পুজো করার পর মা দুর্গার প্রতিমাকে পুজো করা হয়।

ভট্টাচার্য বাড়িতে পুজো শুরু দ্বিতীয়া থেকেই। নিয়ম-নিষ্ঠা মেনে পুজো হয় ইছাপুরের নবাবগঞ্জের ভট্টাচার্য পরিবারে। ১৭৪৭ সালে ভট্টাচার্য পরিবারে পুজো শুরু করেন রামচন্দ্র তর্কালঙ্কার। মেদিনীপুর থেকে নবাবগঞ্জে এসে টোল খোলেন পণ্ডিতমশাই। ধীরে ধীরে টোলের জনপ্রিয়তা বাড়ে, শিক্ষক হিসেবে ততই প্রভাব বাড়ে তর্কালঙ্কারের। এই সময়ে ভট্টাচার্যদের বাড়িতে দুর্গাপুজো শুরু হয়।

প্রথমে হোগলা পাতার ঘরে পুজো হত। পরে পাকা দালান হয়। এরপর ১৩ প্রজন্ম কেটে গিয়েছে। মহালয়ার আগের দিন আসে প্রতিমা। সোনার গয়নায় সেজে ওঠেন উমা। সপ্তমী থেকে নবমী হয় পাঁঠা বলি। দশমীতে ফল বলি। এখনও ভট্টাচার্যদের প্রতিমা বিসর্জনের পরই এলাকার অন্য প্রতিমা নিরঞ্জন করার নিয়ম। এখন ২৯ শরিক মিলে আমরা পুজো করা হয়। আজও প্রথমে বেলতলায় শিবলিঙ্গকে পুজো করা হয়। মাকে দু’বার করে অন্ন ভোগ দেওয়া হয়। খিচুড়ি, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, তরকারি, চাটনি, মিষ্টান্ন। তন্ত্রমতে পুজো হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#durga puja, #Durga Puja 2024, #Bhattacharya Bari, #Ichhapur

আরো দেখুন