দেশ বিভাগে ফিরে যান

FMCG-র গেরোয় বিপন্ন শহরের শঙ্কর মুদিরা

October 14, 2024 | < 1 min read

ছবি সৌজন্যে: inc42.com

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এফএমসিজি, ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস! সাফ কথায়, যত দ্রুত সম্ভব গ্রাহকদের কাছে প্রয়োজনীয় যেকোনও সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া।


স্মার্টফোনে থাকা অ্যাপগুলির দৌলতে সংকটে শঙ্কর মুদিরা। অনলাইনে অর্ডার করলেন, টাকা পয়সা মিটিয়ে দিলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্র দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল। অভিযোগ, এফএমসিজি-র জন্যই নাকি পাড়ার মুদির দোকানের ব্যবসা মার খাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন এসেছে। পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলিকে এক নতুন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। সারা ভারতে বর্তমানে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ মুদিখানা দোকান রয়েছে। যে দোকানগুলি আজও গৃহস্থের প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জোগান দিয়ে চলেছে। মেট্রো শহরগুলি বাদ দিলে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চল; এফএমসিজি সংস্থাগুলিরও মূল ভিত্তি কিন্তু এই পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলিই।

অদূর ভবিষ্যতে অন্তত খুচরে বিক্রির ক্ষেত্রে মুদিখানা দোকানগুলির প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখছেন না বিশেষজ্ঞেরা। তবে গ্রাহকের কাছে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বার্ষিক বিক্রির ৮৫ থেকে ৮৭ শতাংশই হয় পাড়ার মুদিখানা দোকানগুলির মাধ্যমে। কিন্তু, মেট্রো শহরগুলির ছবিটা অনেকটাই আলাদা। এত দিন যাঁরা মুদির দোকানের মাধ্যমে সংসার চালিয়ে এসেছেন, আজ তাঁদেরই রুজিরুটির বিকল্প ভাবনা ভাবতে হচ্ছে। এফএমসিজি সংস্থাগুলি যেভাবে ক্রেতাদের লোভনীয় সব অফার এবং ছাড়া দেয়, তার সঙ্গেও মেট্রো শহরের মুদির দোকান পাল্লা দিতে পারছেন না। ফলে তাঁদের সমস্যা আরও বাড়ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Delivery apps, #products, #FMCG, #FMCG products, #Stationery shops

আরো দেখুন