বেডের জন্য আর চরকিপাক খেতে হবে না! শুরু ‘সেন্ট্রালাইজড রেফারেল সিস্টেম’
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রেফার্ড হয়ে বেডের জন্য চরকিপাক খাওয়ার দিন শেষ। ‘সেন্ট্রালাইজড রেফারেল সিস্টেম’র পাইলট প্রজেক্ট শুরু হল ১৫ অক্টোবর। মঙ্গলবার, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে চালু হয়ে গেল পাইলট প্রজেক্ট। রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এ খবর জানিয়েছেন। সোনারপুর, বিজয়গড়, বাঘা যতীন এবং বিদ্যাসাগর হাসপাতাল থেকে রোগীরা ‘রেফার্ড’ হয়ে বাঙ্গুরে এলেন নয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে।
বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কতজন ভর্তি আছেন, কতজন ছুটি পেয়েছেন, ক’জনের মৃত্যু হয়েছে, কতগুলি বেড খালি ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য আপডেট হতে থাকবে এই ব্যবস্থায়। স্বাস্থ্যদপ্তরের হেলথ ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম সফটওয়্যারকে কাজে লাগানো হবে।
এতদিন ‘রেফার’ ফর্মে লিখে রোগীর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। হাসপাতালে বেড জোগাড়, চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করতে হত রোগী ও তাঁর বাড়ির লোকজনকেই। তা করতে গিয়ে নাজেহাল হতেন রোগী ও বাড়ির লোকজনকে। নয়া কেন্দ্রীয় ব্যবস্থায় যেকোনও সরকারি হাসপাতালে আসা রোগীকে যদি সঙ্গত কারণে ‘রেফার’ করতেই হয়, তবে কোন হাসপাতালে পাঠালে উপযুক্ত চিকিৎসা মিলবে, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সেখানে বেড খালি আছে কি-না, তাও দেখে নিতে পারবেন ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার। বেড খালি থাকলে সেখানে তিনি চিকিৎসার কাগজপত্র অনলাইনে পাঠিয়ে দেবেন। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক কাগজ দেখে অ্যাকসেপ্ট করলে তৎক্ষণাৎ রোগীকে সেখানে পাঠাতে হবে। বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা শুরু করবে। ‘রিজেক্ট’ করলে অন্য হাসপাতালে কাগজ পাঠাতে হবে। আট ঘণ্টার মধ্যে ‘অ্যাকসেপ্ট’ বা ‘রিজেক্ট’ কোনওটাই না করলে, ‘অটো অ্যাকসেপ্ট’ হয়ে যাবে। রোগীকে পাঠালে বেডের ব্যবস্থা করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।