সহজে বিপুল অঙ্কের লোনের টোপ! প্রতারণা ফাঁদ পাতছে সাইবার প্রতারকরা
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ১০ লক্ষ টাকা লোন মিলবে, মর্টগেজ মাত্র ৩৯৮ টাকার চেক! সহজে বিপুল অঙ্কের লোনের টোপ দেখিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে সাইবার প্রতারকের দল। এমন ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ এখন অতীত, তাই বিশ্বাস অর্জনের জন্য বাড়িতে বাড়িতে এজেন্ট পাঠাচ্ছে প্রতারকেরা। সামান্য অঙ্কের টাকার দু’টি বাতিল চেক নিয়ে আসছে তারা। তাতে সই করে দিলে বিপুল অঙ্কের টাকা পাওয়া যাবে বলে জানানো হচ্ছে। সামান্য টাকা লোকসানের ভয় থাকায় অনেকেই চেকে সই করে দিচ্ছেন। সই হয়ে গেলেই সাইবার প্রাতারকদের কাজ হাসিল। ম্যাজিক পেনে লেখা সামান্য অঙ্কের টাকা মুছে মোটা অঙ্কের টাকার পরিমাণ বসিয়ে, অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে সাইবার প্রতারকরা। বাঁকুড়ায় ইতিমধ্যেই একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জয়পুর ও সারেঙ্গা থানায় লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকার প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে।
জানা গিয়েছে, সারেঙ্গার গড়গড়িয়া এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ফিনান্স কোম্পানির নাম করে মনোজকুমার গুপ্তা নামে এক ব্যক্তি ফোন করে। কোনও রকম মর্টগেজ ছাড়া ১০ লক্ষ টাকা লোন দেওয়ার কথা জানায়। দু’টি ক্যানসেল চেক ও দু’টি ১৯৯টাকার চেক দিতে হবে বলে জানান তিনি। ব্যবসায়ী রাজি হয়ে যান। এরপরই এক ব্যক্তি ব্যবসায়ীর বাড়িতে আসে। সে চারটি চেকে ব্যবসায়ীর সই করিয়ে নিয়ে চলে যায়। ওইদিনই তাঁর একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ১লক্ষ ৮৬হাজার ৫০০টাকা তুলে নেওয়া হয়। সন্দেহ হওয়ায় ব্যবসায়ী তৎক্ষণাৎ অন্য একটি ব্যাঙ্কে গিয়ে অ্যাকাউন্ট ব্লক করেন।
ব্যবসায়ী জানান, এর আগেও অন্যান্য ফিনান্স কোম্পানি থেকে লোন নিয়েছেন তিনি। সেখানেও ক্যানসেল চেক দিতে হয়েছে। তাই এক্ষেত্রেও কোনও সন্দেহ করেননি। সেই চেক ভাঙিয়ে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫০০টাকা তুলে নেওয়া হয়। অন্য একটি ব্যাঙ্কের চেক থেকেও টাকা তোলার চেষ্টা হয়। কিন্তু, সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় তারা টাকা তুলতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, একইভাবে জয়পুরেও কিছুদিন আগে এক ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সমপরিমাণ টাকা তুলে নেওয়া হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।