উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে জটিলতা অব্যাহত, এবার লিবারেশনকে একটি আসন ছাড়ছে ফ্রন্ট শরিকরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে ছয়টি বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না তা নিয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসে বামফ্রন্ট। কিন্তু কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বামেরা আশা করছে, জোট-বার্তা নিয়ে কংগ্রেস তাদের দরজায় কড়া নাড়বে। একই আশায় বসে আছে প্রদেশ কংগ্রেসও। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত কেউ কারও দরজায় কড়া না নাড়ায় বাম-কংগ্রেস জোটের বিষয়টি আপাতত ঝুলেই রইল।
আইএসএফ নিয়ে মোহভঙ্গ হয়েছে আগেই। এবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার ক্ষেত্রে নিজেদের ভাগের আসন ছাড়তে নারাজ বাম শরিকরা। এমনটাই সূত্রের খবর। সিপিএমের একাধিক জেলা কমিটি ছাব্বিশের ভোটের আগে চাইছে বামেরা এই উপনির্বাচনে এককভাবে লড়ে নিজেদের শক্তি পরখ করে নিক। অন্যরদিকে, ঠিক একইভাবে কংগ্রেসও ছয়টি আসনেই দলীয় প্রার্থীর নাম ঠিক করে নিতে চাইছে। কংগ্রেসও চায় ছাব্বিশের আগে এই ছয় কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দলের সাংগঠনিক শক্তি যাচাই করে নিতে।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের জন্য অপেক্ষা না করে বামফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, একটি করে আসনে লড়াই করবে শরিক দল। বাকি তিনটে আসনে লড়াই করবে সিপিএম। তবে ইতিমধ্যেই সিপিআইএম লিবারেশন -এর সঙ্গে এক প্রস্থ আলোচনা হয়েছে। নৈহাটি আসনটিতে লড়তে তারা আগ্রহী। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলা শুরু করেছেন সিপিএমের রাজ্য নেতারা। জেলার তরফে আপত্তি না হলে, লিবারেশন কে এই আসনটি ছাড়া হতে পারে।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের নয়া সভাপতি শুভঙ্কর সরকার উপর থেকে জোট-নীতি চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। সিপিএমের সঙ্গে জোটের বিষয়ে তিনি দলের সংশ্লিষ্ট জেলার সভাপতিদের কাছে এ দিনের বৈঠকে মতামত চান। সূত্রের খবর, অধিকাংশ জেলা নেতৃত্বই ‘একলা চলো’ নীতির পক্ষে সওয়াল করেন। তবে রাজ্যস্তরের কিছু কংগ্রেস নেতা বৈঠকে জানান, বাংলায় একলা লড়ার মতো সাংগঠনিক অবস্থা এই মুহূর্তে কংগ্রেসের নেই। তাই বামেদের সঙ্গে জোট করাই যুক্তিযুক্ত।