সর্ষের মধ্যে ভূত! বিপুল অঙ্কের GST ফাঁকি ডাক বিভাগ ও রেল মন্ত্রকের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: আইনের ফাঁকের গেরোয় জিএসটি বাবদ কর ফাঁকি এবং জালিয়াতির ঘটনা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। প্রকাশ্যে এল খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রকের বিপুল পরিমাণ জিএসটি ফাঁকির তথ্য। জিএসটি ফাঁকি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে, ডাক বিভাগ ও রেল মন্ত্রক থেকে জিএসটি ফাঁকির অঙ্ক ৪২৩ কোটিরও বেশি টাকা। বিভিন্ন রাজ্য সরকারি সংস্থা কয়েক হাজার কোটি টাকার জিএসটি ফাঁকি দিচ্ছে। রাজ্যগুলির মধ্যে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব জিএসটি ইন্টেলিজেন্স (ডিজিজিআই) কর ফাঁকি রুখতে কাজ করে। সংস্থার কর্তারা জানাচ্ছেন, ডাক বিভাগের অধীন ডিরেক্টরেট অব পোস্টাল লাইফ ইনসিওরেন্সের মোট ১২৬ কোটি ১৮ লক্ষ টাকার জিএসটি ফাঁকির তথ্য হাতে এসেছে। দেশজুড়ে ২৩টি সার্কেল থেকে তারা ডাক জীবন বিমা এবং গ্রামীণ ডাক জীবন বিমা বিক্রি করে। এজেন্টেরা বিমা পলিসিগুলি বিক্রি করেন, তাঁদের প্রাপ্য কমিশন থেকে জিএসটি বাবদ টাকা কেটে জিএসটি কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করাই নিয়ম। কিন্তু টাকা কেটে নেওয়া হলেও তা ডাকবিভাগ জমা করেনি বলে জানাচ্ছেন ডিজিজিআই আধিকারিকরা। রেলের জিএসটি ফাঁকি নিয়ে কী জানাচ্ছে ইন্টেলিজেন্স? ভারতীয় রেলওয়ের আওতাধীন ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ফিনান্স কর্পোরেশনের জিএসটি বাবদ মেটানোর কথা ছিল ২৯৭ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। তারা সে টাকা মেটায়নি। ভোপাল জোনের অফিসাররা করফাঁকির হদিশ পেয়েছেন। ডাকবিভাগের করফাঁকির তথ্য সামনে এনেছেন চন্ডীগড়ের অফিসাররা।
রাজ্য সরকারি সংস্থাগুলির জিএসটি ফাঁকির নিরিখে শীর্ষে মুম্বইয়ের আবাসন ও শিল্পোন্নয়ন নিগম। আবাসন ও বাণিজ্যিক জমি ও পরিকাঠামো লিজ দেওয়ার উপর জিএসটি আদায় করলেও কোনও টাকা জমা হয়নি। ১১১ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে। মহারাষ্ট্র সরকারের শিল্পোন্নয়ন নিগম একইভাবে লিজ বাবদ নেওয়া জিএসটির টাকা মেটায়নি কেন্দ্রীয় সরকারকে। টাকার অঙ্ক ৬৭৮ কোটি!
ডিজিজিআইয়ের কর্তারা জানাচ্ছেন, কর ফাঁকির তথ্য সামনে আসার পর সরকারি সংস্থাগুলি কিছুটা হলেও বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। পেনাল্টিও দিয়েছে কোনও কোনও সংস্থা। তদন্ত না হলে কেন্দ্র যে কয়েক হাজার কোটি রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়ত।