দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে বিশেষ আরাধনা হয় নবদ্বীপের কালীমন্দিরগুলোতে
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: নবদ্বীপ মহাশ্মশান সংলগ্ন মণিপুর রোডে রয়েছে তিনটি সুপ্রাচীন কালীমন্দির; পঞ্চমুন্ডির আসনে উপর অধিষ্ঠিত কালী, শব আসনের উপর আদি শ্মশানকালী, এবং মৌনী বাবা শ্মশান কালী। কালীপুজোর রাতে প্রথা মেনে কোনটি তন্ত্র মতে, কোনটি বৈষ্ণব মতে পুজো হয়। মন্দিরগুলিতে নিত্যপুজোও হয়।
কালীসাধক আশুতোষ বাগচী ১৩৪৫ সালে নবদ্বীপের প্রাচীন আদি শ্মশানকালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১১ পোয়ার কালীমূর্তিতে পুজো হয়। দু’পাশে ডাকিনি ও যোগিনী আছে। এক পাশে রয়েছে শিয়াল। দেবী এখানে শবের উপর অধিষ্ঠিত রয়েছেন। পুজোর আগের দিন অমাবস্যা থাকাকালীন নতুন মূর্তি আসে। তারপরই পুরনো মূর্তি ভাগীরথীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সেই মূর্তি সারাবছর ধরে পুজো হয়। দীপান্বিতা রাতে তন্ত্রমতে আদিশ্মশান কালীর পুজো হয়। কৌশিকী অমাবস্যায় দেবীকে শোল, ইলিশ, কালবোশ, কাতলা মাছ ভোগ নিবেদন করা হয়। দীপান্বিতার রাতে দেবীকে নিরামিষ ভোগ দেওয়া হয়। মায়ের ঘরে যেমন শিবলিঙ্গ রয়েছে তেমন রয়েছে নারায়ণ শিলাও। মন্দিরে একই সঙ্গে কালী, শিব এবং নারায়ণ শিলার পুজো হয়।
শ্মশান কালীমন্দিরের কাছে রয়েছে আরও একটি কালীমন্দির। প্রায় ৭০ বছরের বেশি প্রাচীন নৈহাটি কালী মন্দির। জগদীশ মুখোপাধ্যায় নামে এক তন্ত্রসাধক নৈহাটি থেকে এসে মন্দির স্থাপন করেন। ১১ পোয়া মূর্তি। মন্দিরে পঞ্চমুন্ডির আসনে কালীমুর্তি অধিষ্ঠিতা। মুর্তিটি নৈহাটি কালী নামে পরিচিতা। এই কালীপ্রতিমা তান্ত্রিক মতে পুজো করা হলেও এখন বৈষ্ণব মতে পুজো হচ্ছে। দীপান্বিতায় দেবীকে খিচুড়ি পুষ্পান্ন ভোগ দেওয়া হয়। পুজো শেষে প্রসাদ ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়। মণিপুর রোডের শ্মশানঘাটে ঢোকার মুখে আরও একটি প্রাচীন কালীমন্দির রয়েছে। মন্দিরটি মৌনি বাবার শ্মশানকালী বলে খ্যাত। কালীপুজোর রাতে বৈষ্ণবীয় মতে, নিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়।