কাটা যাবে না গাছ, জোকা থেকে বিবাদি বাগ মেট্রো নিয়ে কী নির্দেশ শীর্ষ আদালতের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: জোকা-বিবাদি বাগ মেট্রো রেল প্রকল্পের জন্য ভিক্টোরিয়া এলাকায় গাছ কাটা চলবে না, বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানিয়েছে, গাছ কাটা আদৌ ঠিক হবে কি-না, সম্পূর্ণ কেটে না-ফেলে স্থানান্তর করা হলে গাছগুলিকে কোথায় নতুন করে বসানো হবে, সেগুলি বাঁচবে কি-না, এসব বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি সেন্ট্রাল এম্পাওয়ার্ড কমিটি ও পশ্চিমবঙ্গের চিফ কনজারভেটার অব ফরেস্ট বিবেচনা করবে।
পরিবহণের স্বার্থে মেট্রো প্রকল্পে আপত্তি নেই। মাটির নীচে দিয়ে যাওয়া প্রকল্পে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকায় মাটির ওপরে হবে স্টেশন। ময়দান এলাকায় কাটতে বা সরাতে হবে ৯৪৩টি গাছ। এতগুলি গাছ কেটে ফেললে ময়দান এলাকায় বাড়বে দূষণ। বিপুল সংখ্যক গাছ কাটার বিরোধিতায় আদালতে মামলা করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘পিপল ইউনাইটেড ফর বেটার লিভিং ইন ক্যালকাটা।’
শুনানিতে তাদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত আদালতে বলেন, “প্রকল্পে আপত্তি নেই। কিন্তু গাছ কেটে বা সরিয়ে দিলে কলকাতার সর্বনাশ হবে। মেট্রো প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড কারও অনুমতি ছাড়াই ২৯টি গাছ কাটা শুরু করে দিয়েছে। এটা কী করে সম্ভব?” দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা পাল্টা বলেন, “গাছ কাটা হয়নি। ওখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র বসানো হচ্ছে। প্রকল্পের জন্য যা প্রয়োজন। কিন্তু জনস্বার্থের নামে এভাবে মামলা করলে তো প্রকল্পই হবে না। হলেও দেরি হবে।”
বিচারপতি বিশ্বনাথন আবেদনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশ্যে বলেন, “প্রাক্তন এক ক্যাবিনেট সেক্রেটারির একটি বই পড়ে নেবেন। যেখানে দিল্লি মেট্রোর কথা বলা ছিল। ১৯৫০ সালেই ঠিক হয়েছিল দিল্লি মেট্রোর। কিন্তু পরিবেশ, মামলা ইত্যাদি ইস্যুতে হয়নি। যদিও আদতে ২০০৭ সালে এসে তা হয়েছে।” বিচারপতি বিআর গাভাই নির্দেশ দেন, যানজট কাটাতে মেট্রো জরুরি। আপাতত বিশেষজ্ঞর মতামত না মেলা পর্যন্ত একটি গাছও কাটা চলবে না। এমনকি গাছ সরানোও যাবে না।