ময়নাগুড়ির শ্রী শ্রী চণ্ডীমাতা মন্দিরের ‘ধুমাবতী পেটকাটি’ মায়ের মূর্তি উদ্ধারের কাহিনি জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লাঙলের ফলা আটকে গিয়েছিল কৃষিজমিতে। তারপর মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় মূর্তি। মূর্তি ছিল কষ্টি পাথরের। সেই মূর্তিই ময়নাগুড়িতে আজও পূজিত হয়ে আসছে। প্রতিমার নাম পেটকাটি। এলাকার নাম পেটকাটি হয়েছে। ময়নাগুড়ি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে পেটকাটি মন্দিরে চলছে পুজোর আয়োজন। কথিত আছে, মাটি থেকে যখন মূর্তি পাওয়া গিয়েছিল; তার পেট কাটা ছিল। সেই কারণে প্রতিমার নামকরণ করা হয়েছিল মা পেটকাটি। যা ধুমাবতী পেটকাটি নামেও পরিচিত।
১৯৪০ সালে ধুমাবতী পেটকাটি শ্রী শ্রী চণ্ডীমাতা মন্দির স্থাপিত হয়েছিল। চলতি বছর পুজোর ৮৫ তম বর্ষ। অনেকের মতে মন্দির স্থাপনের বহু আগে থেকেই পেটকাটি মায়ের পুজো হয়ে আসছে কালীপুজোর দিন। পেটকাটি মন্দির যে জায়গায়, তার পাশের জমিতে লাঙল দিচ্ছিলেন এলাকার বাসিন্দা করহাল রায়। সেই সময় মূর্তিটি মাটির নীচ থেকে উঠে আসে। পরবর্তীতে করহাল রায়কে স্বপ্নে পুজো করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মা। এরপর থেকেই পুজো শুরু হয়।
মন্দির তৈরির জন্য জমি দান করেছিলেন পবনা রায়, থেলথেলা রায়, করহাল রায়। উত্তরবঙ্গের বিভিন্নপ্রান্ত ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গ থেকে পুজোর দিন ভক্তরা আসেন। দু’দিনের মেলাও বসে মন্দির চত্বরে। এই ঠাকুর অত্যন্ত জাগ্রত, ঠাকুরের কাছে মনস্কামনা করলে তা পূরণ হয়। পুজোর পরের দিন সারাদিন প্রসাদ বিতরণ করা হয়।