ডানার ঝাপটায় জেলায় জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, সোমে শুরু সমীক্ষা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ বঙ্গে না এলেও, তার জেরে রাজ্যে ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে। মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়েছে। জল জমে নুইয়ে পড়েছে ধানগাছ। ফুল অন্যান্য সবজি চাষের হালও এক। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জেলায় জেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি দপ্তরের প্রথমিক সমীক্ষা বলছে, ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে ব্যাপক বৃষ্টির জেরে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি-সহ ৯টি জেলা মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ হেক্টর জমির ফসল দুর্যোগের কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সোমবার থেকে জেলায় জেলায় গিয়ে কৃষিদপ্তরের বিশেষ দল পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করবে।
কৃষিদপ্তর সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে জলমগ্ন হয়ে পড়া ২০ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছিল। গোটা বাংলায় ৩০০০ হেক্টর জমিতে থাকা ফুল, সবজি এবং পানচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একাধিক জেলায় মাছের ভেড়ি এবং পুকুর ভেসে গিয়েছে। হুগলি জেলাজুড়ে প্রায় ১২০০ হেক্টর জমির সবজি আর ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় চাষবাসের ক্ষতি হয়েছে। বাগনান, দেউলটি-সহ ফুলচাষের এলাকাগুলিতেও জল জমে ফুল পচে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের শস্যবিমার আবেদনের মেয়াদ আরও একমাস বাড়িয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, একজন কৃষকও যেন ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা নবান্নে ফোন করে তথ্য দিয়েছেন। দপ্তরের এখনও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।