প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনাতেও ব্রাত্য বাংলা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় এক কিমি রাস্তারও অনুমোদন পায়নি বাংলা। ২০২২ সালে নভেম্বরে রাজ্যের জন্য মোদী সরকার এই প্রকল্পের শেষ অনুমোদন দিয়েছিল। সাড়ে পাঁচ হাজার কিমি গ্রামীণ সড়ক তৈরির অনুমোদন চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে, কিন্তু মঞ্জুর হয়নি। ডাবল ইঞ্জিন-সহ অন্যান্য রাজ্য গ্রামীণ রাস্তার জন্য কোটি কোটি টাকা পেয়েছে। বঞ্চনা কেবল হয়েছে বাংলার মানুষের সঙ্গে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় কাজের অগ্রগতি ভালো হওয়া সত্ত্বেও বাংলার পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা তৈরির জন্য গত দু’বছরে একটি টাকাও বরাদ্দ করেনি কেন্দ্র।
নতুন করে বরাদ্দ না-দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক কারণকেই দায়ী করছে রাজ্য প্রশাসন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে কাজ করে বাংলার প্রশাসন। প্রতিটি স্তরের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট-সহ অডিট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যথাসময়েই কেন্দ্রকে পাঠানো হয়। রাজ্যকে নতুন বরাদ্দ না দেওয়ার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। বিরোধী দলের সরকার বলেই বাংলার মানুষের সঙ্গে কেন্দ্র বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে?
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩ মারফত ২০২২ সালের নভেম্বরে ৮৫৭ কিমি রাস্তা তৈরির অনুমোদন মেলে। ৫৪৮ কোটি টাকার কাজের অধিকাংশই শেষ করে ফেলেছে রাজ্য। ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে আরও সাড়ে পাঁচ হাজার কিমি কাজের অনুমোদন চাওয়া হয়। প্রয়োজন প্রায় চার হাজার কোটি টাকা। একটি টাকারও কাজের বরাদ্দ গত দু’বছরে কেন্দ্র দেয়নি। কাজের গুণমান যাচাইয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিল মোদী সরকার। রাজ্যের কাজে কোনও গলদ খুঁজে পায়নি তাঁরা। উল্টে রাজ্যকে ‘ক্লিনচিট’ দিয়েই চিঠি দিয়েছে। তা সত্ত্বেও দু’বছরে এই প্রকল্পের বাংলার জন্য বরাদ্দ শূন্য! শুধুমাত্র রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ করে ১৫ হাজার কিমির বেশি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি করেছে বাংলার সরকার।