‘দীপাবলি আলোর উৎসব, শব্দের নয়’ সচেতনতার বার্তা বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: কালীপুজো ও দীপাবলির রাতে শব্দদানবের অত্যাচারে টেকা দায়। বয়স্ক, অসুস্থ, শিশু, পোষ্যদের তোয়াক্কা না করেই শব্দবাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন কেউ কেউ। পরিবেশ যতই দূষিত হোক, মানুষ অসুস্থ হোক, তাতে কিছু যায় আসে না এক দল মানুষের। প্রতিবারের মতো এবারও নিষিদ্ধ শব্দবাজি ব্যবহার নিয়ে পথে নামল বিধাননগর কমিশনারেট। বিভিন্ন থানা এলাকায় মাইকিং করে বলা হচ্ছে, দীপাবলি আলোর উৎসব, শব্দের নয়। বেআইনি শব্দবাজি পোড়ালে জেল ও জরিমানা হতে পারে।
দীপাবলিতে ব্যাপক দূষণ ছড়ায়। যার কারণ বাজি। গ্রিন বাজি ব্যবহারের কথা বলা হলেও আড়ালে শব্দবাজির কেনাবেচা চলে। পুলিশ ধরপাকড়ও করে। এবারও বহু জায়গায় বাজেয়াপ্ত হচ্ছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। নিষিদ্ধ শব্দবাজি শুধু শব্দদূষণ নয়, পরিবেশও দূষিত করে। ফলে মানুষের শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গত বছর বাজির শব্দমাত্রা ৯০ ডেসিবল পর্যন্ত থাকলেও এবার তা বেড়ে হয়েছে ১২৫ ডেসিবল। ফলে, কালীপুজোয় শব্দ দানবের দাপট চলার সম্ভাবনাই বেশি। মানুষকে সচেতন করতে নেমেছে বিধাননগর কমিশনারেট। নিষিদ্ধ শব্দবাজি বন্ধ করতে অটোয় মাইক বেঁধে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছে পুলিশ।
নারায়ণপুর থানা এলাকায় একাধিক কালীপুজো হয়। ভিড় মোকাবিলায় মঙ্গলবার পুলিশ আধিকারিকরা বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে পুজোর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। প্রবেশ পথ, প্রস্থান পথ, সুরক্ষা বিধি, পুলিশের গাইড লাইন মানা হয়েছে কি না, তা পরিদর্শন করেন পুলিশ অধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শব্দবাজি নিয়ে গাইডলাইন দিয়েছে। তা প্রচারও করা হচ্ছে। নাগরিকরা যাতে কোনওভাবেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি ব্যবহার না করেন, সে ব্যাপারে প্রচার চালানো হচ্ছে। মজুত ও বিক্রির পাশাপাশি কেউ যদি নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়ান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধাননগর কমিশনারেটের মধ্যে রয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। দীপাবলিতে এই কমিশনারেটের সমস্ত থানা এলাকায় ফানুস, ড্রোন ওড়ানো এবং লেজার লাইট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুর্গাপুজোতেও নিষেধাজ্ঞা ছিল। কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় বৈঠকে ফানুস, ড্রোন এবং লেজার নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।