শ্লীলতাহানির অভিযোগের জের, এবার জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও বাদ তন্ময় ভট্টাচার্য?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মহিলা সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগের জের। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও বাদ পড়তে চলেছেন তন্ময় ভট্টাচার্য। নিজের দলের অন্দরেও ভর্ৎসিত হচ্ছেন সিপিএম নেতা।
আরজি কর আবহে নারী সুরক্ষা নিয়ে আন্দোলনে নামা সিপিএম তন্ময় ভট্টাচার্যকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ না দিয়েই সাসপেন্ড করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমের দাপুটে নেতাকে। দলের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। একের পর এক ভোটের ফলেই তা প্রমাণিত। তন্ময় ভট্টাচার্যকে তড়িঘড়ি সাসপেন্ডের পর আসন্ন জেলা সম্মেলনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলী থেকেও তাঁকে বাদ দিতে চলেছে আলিমুদ্দিন।
আগামী জানুয়ারিতে উত্তর ২৪ পরগনা সিপিএমের জেলা সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে জেলা সম্মেলনে তন্ময় ভট্টাচার্যকে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য করা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তন্ময় ও তাঁর গোষ্ঠীর কাছে হার মানতে হয়েছিল আলিমুদ্দিনকে। পার্টির গাইড লাইন অনুযায়ী, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে তাঁরাই থাকতে পারবেন, যাঁরা হোলটাইমার। অবসর না নেওয়া পর্যন্ত চাকরি করেছেন, পেনশনভোগী বা ব্যবসা করেন, এমন নেতারা থাকতে পারবেন না জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে। এমন কাউকে যদি নিতে হয় তাহলে আমন্ত্রিত সদস্য করতে হবে। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী না হয়েও উত্তর ২৪পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হয়ে গিয়েছেন তন্ময় ভট্টাচার্য-সহ আরও দু’জন। জেলা সম্মেলনে নন-হোলটাইমারদের সম্পাদকমণ্ডলীতে নেওয়া নিয়ে জেলা কমিটির বৈঠকে তীব্র বিতণ্ডা হয়েছিল। এবার তরুণী সাংবাদিককে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত হওয়ায় আসন্ন জেলা সম্মেলনে সম্পাদকমণ্ডলী থেকে তন্ময় ভট্টাচার্যকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জানা যাচ্ছে।