জাগুলগাছি শ্মশানকালীকে ঘিরে রয়েছে নানান অলৌকিক কাহিনি
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: জাগুলগাছি শ্মশানকালীকে ঘিরে রয়েছে অজস্র অলৌকিক ঘটনা। বছর দু’য়েক আগে ঠিক হয়েছিল মাটির প্রতিমা গড়া হবে। কাঠামো যেদিন মৃৎশিল্পীর বাড়ি পাঠানোর কথা, সেদিন স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে মন্দিরে আসে পাথরের কালীমূর্তি। তারপর মাটির প্রতিমা আর তৈরি হয়নি। পাথরের মূর্তিটির পুজো হচ্ছে। সাত ব্রাহ্মণের মাধ্যমে মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। প্রায় ৯০ বছর আগে শ্মশানে কালীপুজো শুরু হয়েছিল। তারপর তৈরি হয় মন্দির। মন্দিরের বয়স ৫০ বছর। বিভিন্ন গ্রাম থেকে বহু মানুষ কালীপুজোর দিন ভিড় করে আসেন। ভোগ খেতে পরদিনও ব্যাপক ভক্ত সমাগম হয়।
জাগুলগাছি শ্মশানের মধ্যে রয়েছে মন্দির। একসময় এখানে ঘন জঙ্গল ছিল। ধীরে ধীরে বসতি গড়ে ওঠে। মন্দিরে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়। সে কারণেই দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসেন। যেখানে মায়ের মূর্তি তৈরি করা হত সেখানে আমরা কাঠামো পাঠিয়ে দিতাম। সেবছর আমি চারজনকে বলেছিলাম কাঠামো দিয়ে আসার জন্য। সবারই কোনও না কোনও কাজ এসে যাওয়ায় তাঁরা যেতে পারেননি। পরেরদিন নিজেই ঠিক করলাম, দিয়ে আসব। তখনই একজন ফোন করে বললেন মায়ের মূর্তি আসছে। ফলে আর কাঠামো পাঠানো হল না। এটাই হয়ত মায়ের ইচ্ছে ছিল।
কালীপুজোর পরের দিন যে ভোগ রান্না হয়, তার চাল, ডাল ও অন্যান্য জিনিসপত্র দেন হিন্দু ও মুসলমানরা। দুই সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকেই বিপুল পরিমাণ চাল-ডাল আসে।