ভাইফোঁটায় গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দইয়ের চাহিদা আশপাশের জেলায়ও, দেদার বিকোচ্ছে ‘সুগার ফ্রি’ ও ভিন্ন স্বাদের চন্দ্রচূড় দই
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতার রসোগোল্লা যেমন বিশ্ববিখ্যাত, সেরকমই দেশজোড়া খ্যাতি উত্তরবঙ্গের গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দইয়ের। আর সেই সুবাদেই ভাইফোঁটার উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বোনেরা অনেকেই চেষ্টা করছেন তাদের ভাইয়েদের পাতে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই রাখতে। ভাইফোঁটায় প্রিয়জনদের সেই দই খাওয়াতে আগে থেকেই অনেকে মিষ্টি প্রস্ততকারকদের কাছে অর্ডার দিয়ে রেখেছেন।
যে কোনও পার্বণ এলেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তো বটেই আশপাশের জেলাতেও ইলিশের পাশাপাশি সমানভাবে কদর রয়েছে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দইয়ের। বোন ও দিদিদের বাড়িতে ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে গঙ্গারামপুরের ক্ষীর দই উপহার হিসেবে পাঠাতে আগে থেকেই জেলার মিষ্টির দোকানে অর্ডার নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল কদিন আগেই।
কালীপুজোর আগে থেকেই নয়াবাজার এলাকায় ক্ষীর দই প্রস্তুতকারকরা এবারে সুগার ফ্রি ও মিষ্টি দই ও ভিন্ন স্বাদের চন্দ্রচূড় দই নিয়ে এসেছেন। এবারে খাঁটি ক্ষীর দই প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, চন্দ্রচূড় দই ১৮০ টাকায়। গঙ্গারামপুরের নয়াবাজার এলাকায় দই প্রস্তুতকারকরা এবার প্রতিবেশী রাজ্য বিহার ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে অর্ডার পেয়েছেন। নয়াবাজার এলাকার দই প্রস্তুতকারক প্রায় ১০০টি পরিবার ৫০০ কুইন্টাল দুধের দই তৈরি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাজার ধরতে নেমেছে। গঙ্গারামপুর চৌপথী এলাকার ক্ষীর দইয়ের স্টলগুলিতে ব্যাপক পরিমাণ দই মজুত করছে। রাতে বাসে করে অর্ডার অনুযায়ী দই পৌঁছে যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন জেলার মিষ্টির দোকানে।
নয়াবাজারের দই প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে অর্ডার মিলেছে। বিভিন্ন মিষ্টির দোকান থেকে আগাম বায়নার টাকা নেওয়া রয়েছে। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য এবং ভোজন রসিকদের কথা মাথায় রেখে সুগার ফ্রি দই রাখা হচ্ছে।