বাংলাদেশের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বাড়নো হবে চালের, রাজ্যে দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাদেশে ঊর্ধ্বমুখি চালের দাম। যার জেরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে জনজীবনে। গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে চালের দাম ১০ – ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্যা সমাধানে সেদেশের অস্থায়ী সরকারের কাছে ভারত থেকে অবাধে চাল আমদানির অনুমতি চাইছিলেন ব্যবসায়ীরা।
এই অবস্থায় চালের দাম কমাতে মরিয়া সিদ্ধান্ত নিল মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। চালের উপর থেকে আমদানি শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে তারা। ইতিমধ্যে ভারত সরকারও সম্প্রতি চালের উপর রপ্তানি কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দুই দেশের এই দুই সিদ্ধান্তের কারণে চাল রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে। অবস্থানগত নৈকট্যের কারণে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই মূলত চাল রপ্তানি হয়।
সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের খোলা বাজারে চালের জোগান কিছুটা কমতে পারে। আর জোগান কমলে স্বাভাবিক নিয়মে বাজারে চালের দাম বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে সাধারণ মধ্যবিত্তের। রাজ্যের বাজারে এখনই চালের দাম বেশ চড়া। তবে বাংলাদেশে চাল রপ্তানির জন্য খোলা বাজারে ধানের দাম বাড়লে রাজ্যের চাষিরাই তার ফায়দা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। খরিফ মরশুমে নতুন ধান ওঠার মুখে এই সুবিধাজনক পরিস্থিতি তাঁদের সহায়ক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত প্রায় দু’বছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ২০২২ সালেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাসে গড়ে প্রায় ৩ লক্ষ টন চাল বাংলাদেশে গিয়েছিল। পরে বাংলাদেশ সরকার ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক চাপানোয় রপ্তানি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রের মোদি সরকার সেদ্ধ ও আতপ চালের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। ভোটের সময় দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। ভোট মিটে যেতেই চাল রপ্তানির উপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। সেদ্ধ চাল রপ্তানির উপর প্রথমে ২০ শতাংশ ও পরে ১০ শতাংশ হারে কর ছিল। সম্প্রতি এই রপ্তানি কর পুরোপুরি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।