সিতাই উপনির্বাচনে তুঙ্গে তৃণমূলের প্রচার, সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়েছে জোড়াফুল শিবির
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: উপনির্বাচনকে ছোট করে দেখছে না শাসক তৃণমূল। সিতাই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঙ্গীতা রায়কে জেতাতে সমস্ত স্তরের নেতৃত্বকে কাজে লাগাচ্ছে জোড়াফুল শিবির। এক দফা প্রচার আগেই হয়ে গিয়েছিল। কালীপুজো হতেই বুথ, অঞ্চল, ব্লক স্তরের নেতা থেকে শুরু করে জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব ও রাজ্য স্তরের নেতারা সিতাই যাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সিতাই উপনির্বাচনে কর্মিসভা ও খুলি বৈঠকের মাধ্যমে লাগাতার প্রচার চালাবেন।
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সিতাইয়ে এক দফা প্রচার সেরেছেন। ফের তিনি প্রচারে নেমেছেন। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন দলের সূচি অনুসারে প্রচার চালাচ্ছেন। দলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক পড়ে থেকে প্রচার চালাচ্ছেন। দলের সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন, শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব-সহ অনেকেই প্রচারে আসবেন বলে জানা গিয়েছে।
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, সিতাই কেন্দ্রে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও তাঁর টিম এই উপনির্বাচনে জয়ের জন্য যথেষ্ট। মোশারফ হোসেন, মইদুল ইসলামরা আসছেন। ইউসুফ পাঠানকেও এখানে প্রচারের জন্য আনা হবে। সমস্ত স্তরের নেতাই প্রচারে থাকছেন।
সিতাইয়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার খাসতালুক হওয়ার কারণে তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী। গত লোকসভা নির্বাচনে এখানে বিপুল ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। সে ফল ধরে রাখলে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। উপনির্বাচনে জেলার অন্যান্য নেতৃত্বকেও এখানে কাজে লাগাচ্ছে দল। একেবারে ছক বেঁধে বুথ স্তর থেকে প্রচারে ব্যাপক জোর দিয়েছে তৃণমূল। দু’টি বড় জনসভা করা হবে বলেও খবর মিলছে।
অন্যদিকে, সোমবার সিতাই উপনির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কোচবিহারের জেলাশাসকের দপ্তরের কনফারেন্স কক্ষে বৈঠকে জেনারেল, পুলিশ ও এক্সপেনডিচার অবজার্ভাররা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা, জেলার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্যরা।