মিটার রিচার্জ করার পরই মিলবে বিদ্যুৎ, সিদ্ধান্ত নবান্নের
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে বিদ্যুৎ এর চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার সঙ্গে চাপও বাড়ছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার। বিদ্যুতের বিল বকেয়া রাখার ক্ষেত্রে সাধারণের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে সরকারি দপ্তর। অভিযোগ, এক হাজার কোটি টাকার বেশি বিদ্যুতের বিল বকেয়া রয়েছে নানা সরকারি দপ্তরের।
বাধ্য হয়ে এবার মাঠে নেমেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। তাঁদের দাবি আগে টাকা দিতে হবে তারপর দফতরে বিদ্যুৎ যাবে। শোনা যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে সহমত হয়েছে নবান্নও। সম্প্রতি অর্থ দপ্তর সব সরকারি দফতরে প্রি-পেড মিটার বসানোর নির্দেশ দিয়েছে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, বিভিন্ন ছোট সরকারি অফিসে এ বার প্রি-পেড মিটার লাগানোর কাজ শুরু হবে। অফিসগুলিকে নিয়ম মেনে মোবাইল ফোনের মতো বিদ্যুতের মিটার ‘রিচার্জ’ করাতে হবে। অর্থাৎ, আগাম দিয়ে রাখতে হবে বিদ্যুৎ খরচের টাকা। জমা রাখা টাকা শেষ হয়ে গেলে আপনা থেকেই মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
রাজ্যের অর্থ দপ্তর গত ২৮ অক্টোবর এই মর্মে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। একসঙ্গে কয়েক মাসের টাকা জমা দেওয়া গেলেও মাসে মাসে রিচার্জের কথাই বলেছে অর্থ দপ্তর। এর জন্য কোষাগার থেকে আগাম টাকাও পাওয়া যাবে। কিন্তু এই টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের বকেয়া টাকা মেটানো যাবে না।