স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু নাবালিকার, কী সতর্কবার্তা দিচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নদীয়া জেলায় হাঁসখালি ব্লকের ভায়নায় এঁটুলি পোকার মতো এক ধরনের পোকার কামড়ে এক নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম বর্ণিকা মণ্ডল। বয়স ১৩ বছর। মাত্র ১০ দিনের জ্বরে গত সোমবার রাতে কল্যাণীর এইমসে তার মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু হয়েছে বর্ণিকার। সময়মতো রোগ ধরতে না-পারার জেরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকের অনুমান।
জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা ও গায়ে-হাতে পায়ে ব্যথা হয় তার। শরীর খারাপ হতে শুরু করলে প্রথমে স্থানীয় বগুলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন থাকার পর কল্যাণী জেএনএমে নিয়ে আসে পরিবার। সেখান থেকে গত শুক্রবার কল্যাণী এইমস নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয় সোমবার। ব্যাকটেরিয়া মূলত ফুসফুস, লিভার, পাকস্থলী ও মস্তিষ্ককে আক্রমণ করে। রোগ ধরা পড়লে স্বল্প মূল্যের ডক্সিসাইক্লিন ওষুধে রোগ সারাতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের। মারাত্মক রূপ ধরতে পারে স্ক্রাব টাইফাস।
গ্রাম বাংলার বিভিন্ন ঝোপঝাড়ে এঁটুলি পোকার মতো ০.২ থেকে ০.৪ মিলিমিটার আকারের অতি ক্ষুদ্র ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামক এক ধরনের পরজীবী পোকা দেখতে পাওয়া যায়। ঝোপঝাড়েও দেখা যায় এই পোকা। আকারে ছোট হওয়ায় খালি চোখে সহজে এই পোকা দেখা যায় না। পোকার কামড়ে লালার মাধ্যমে এই স্ক্রাব টাইফাস রোগের জীবাণু মানবদেহে ছড়ায়। কামড়ে ধূপকাঠির ছ্যাকার মতো দাগ ও তার চারপাশে ফুসকুড়ির মতো বের হয়। পোকা কামড়াবার দিনকয়েক পর জ্বর আসে। সঠিক সময় চিকিৎসা না-হলে ফুসফুস, লিভার, মস্তিষ্ক, পাকস্থলীতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। শরীরের একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সময়মতো এই রোগ ধরা পড়লে সহজেই সারানো যায়। সকলকেই সাবধান ও সচেতন থাকতে হবে।