নজরে উপনির্বাচন, নয়া স্লোগান, গান, ভিডিওয় সমাজ মাধ্যমে ঝড় তুলছে তৃণমূল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খেলা হবে হোক বা বাংলা নিজের মেয়েকেই চায় হোক বা বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন, একের পর এক কনটেন্ট বিরোধীদের টেক্কা দিয়েছে তৃণমূল। মাঠে-ময়দানের প্রচারের মতো নেটেও এগিয়ে ঘাসফুল। রাজ্যের ছয় আসনে উপনির্বাচন, সেখানেও সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারকে আলাদা করে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলার শাসক দল।
মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী সুজয় হাজরার প্রচারে দু’টি স্লোগান তৈরি করেছে তৃণমূল। ‘মেদিনীপুর করবে জয়, ঘরের ছেলে সুজয়’ এবং ‘ঘরের ছেলে লড়তে জানে, মাঠ কাঁপিয়ে খেলতে জানে’। মাদারিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পোর জন্যও একাধিক স্লোগান তৈরি করেছে তৃণমূল, যেমন ‘টোটো সমাজের অঙ্গীকার, জোড়াফুলে ভোট এ বার’ বা ‘মাদারিহাটে পাতলে কান, তৃণমূলের জয়গান।’
উপনির্বাচনের প্রচারে প্রত্যেক প্রার্থীর জন্যই নতুন নতুন স্লোগান তৈরি করছে তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়াতে সে সব স্লোগান ঝড় তুলছে। বাড়ি বাড়ি প্রচার, মিছিল, মিটিংয়েও দলীয় কর্মী–সমর্থকদের মুখে স্লোগান শোনা যাচ্ছে। প্রার্থীদের নানা কর্মকাণ্ডের ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করছে তৃণমূলের ডিজিটাল টিম। করোনার সময়ে জয়প্রকাশ টোপ্পো কীভাবে চাবলয়ের বাসিন্দাদের কাছে খাদ্য–বস্ত্র পৌঁছে দিয়েছেন, দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করা, মানসিকভাবে অসুস্থদের চিকিৎসার বন্দোবস্তও ইত্যাদি তুলে ধরা হচ্ছে ভিডিওতে।
নৈহাটির প্রার্থী সনৎ দে, হাড়োয়ার জোড়াফুল প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামের জন্যও তৈরি হয়েছে ভিডিও কনটেন্ট। সিতাইয়ের দলীয় প্রার্থীকে ‘ঘরের মেয়ে’ হিসাবে চিহ্নিত করে ভিডিও বানিয়ে প্রচার চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। মেঠো প্রচারের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারেও বাকি প্রতিপক্ষদের টেক্কা দিচ্ছে তৃণমূল।