বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিঃশ্বাস অবস্থা, গত তিন-চার মাস ধরে খরচে রাশ টানছে শহুরে মধ্যবিত্ত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খাদ্যদ্রব্যের বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিঃশ্বাস অবস্থা মধ্যবিত্তের। যে হারে দিন দিন জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, সেই অনুযায়ী মজুরি বাড়েনি। এই পরিস্থিতিতে বিস্কুট, চকলেট, ফাস্টফুড থেকে চা, হেয়ার অয়েল— সব ক্ষেত্রেই গত তিন-চার মাস ধরে খরচে রাশ টানছে শহুরে মধ্যবিত্ত। তারা এখন খরচ করছে ভেবেচিন্তে। কাটছাঁট করছে জরুরি নয় এমন সমস্ত খরচ। দেশের অর্থনীতির জন্য যা মোটেই সুখকর নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
নেসলে ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সুরেশ নারায়াণন স্বয়ং জানিয়েছেন, উচ্চবিত্তরা আগের মতোই কেনাকাটা করছেন। কিন্তু মূলত মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে যে তারা যে যে পণ্য বাজারে এনেছেন, সেগুলির বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য নরেন্দ্র মোদির সরকারের নেওয়া নীতিগুলির ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। বুধবার দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডলে প্রধানমন্ত্রীর একটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে ভারতবাসীর জীবনে টম্যাটো, পেঁয়াজ ও আলুর গুরুত্ব নিয়ে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে মোদীকে। জয়রাম রমেশের কটাক্ষ, ‘আপনার নীতির জন্য গরিবদের পাত থেকেই উধাও হয়ে যাচ্ছে টম্যাটো, পেঁয়াজ ও আলু। প্রধানমন্ত্রীজি, এটা কী ধরনের অগ্রাধিকার? এই সব্জিগুলির দাম এখন আকাশ ছুঁয়েছে। এর কারণে সব্জির মূল্যবৃদ্ধির হার অক্টোবরে ৪২ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
টম্যাটোর মূল্যবৃদ্ধির হার ১৬১.৩ শতাংশ। আলুর ক্ষেত্রে তা ৬৪.৯ এবং পেঁয়াজে ৫১.৮ শতাংশ।’ অক্টোবরে খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি গত ১৪ মাসে সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। সেটাও মূলত খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার সুবাদেই। কংগ্রেস নেতার মতে, এসবের জন্য বিনিয়োগ-ব্যয়ে ধাক্কা, থমকে যাওয়া মজুরি এবং ব্যাপক বেকারত্বই দায়ী।
তথ্য বলছে, গত তিন-চার মাসে দেশের শহরাঞ্চলে ভোগ্যপণ্য বিক্রি মার খেয়েছে। ব্রিটানিয়া সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এবং এমডি বরুণ বেরিও জানিয়েছেন, শহরে ভোগ্যপণ্যের বিক্রিতে টানের মূল কারণ রিয়েল এস্টেট বা আবাসনের খরচ একধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাওয়া। তার জেরে বড় ও মেট্রো শহরগুলিতে চাপ বেড়েছে ভোগ্যপণ্যের চাহিদায়।