আজ থেকে শুরু কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা, রাসমেলায় মিলবে রাসচক্রের রেপ্লিকা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ, শনিবার থেকে কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী রাসমেলা শুরু। ইতিমধ্যেই রাসমেলা ময়দানে হাজার খানেক স্টল বসেছে। রাস্তার দু’পাশে সারি সারি দোকানের কাঠামো বানানো হয়েছে। আগামী ১৫ দিন ধরে এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। আর এই বিরাট জনসমাবেশ সামাল দিতে কোচবিহার জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কোচবিহারের রাসমেলার অন্যতম আকর্ষণ রাসচক্র। এই রাসচক্র ঘুরিয়েই রাস মেলার সূচনা করেন জেলাশাসক। আর এই রাসচক্রের ক্ষুদে সংস্করণই মাতিয়ে তুলতে চলেছে এবারের রাসমেলা। এবারের মেলায় বিভিন্ন আকারে পাওয়া যাবে রাসচক্রের রেপ্লিকা।
কোচবিহার কলেজ সংলগ্ন বটতলা ক্লাবের পাশে থাকেন সুবল সূত্রধর। তিনি এক ইঞ্চি থেকে সাড়ে তিন ফুট আকৃতির এই রেপ্লিকাগুলি তৈরি করছেন। তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, ১ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ৩ ইঞ্চি, ৬ ইঞ্চি, ৮ ইঞ্চির পাশাপাশি দুই ফুট, আড়াই ফুট, সাড়ে তিন ফুট সহ মোট ৭ ধরনের রাসচক্রের রেপ্লিকা তৈরি করতে ব্যস্ত তিনি।
জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের রাসমেলার নিরাপত্তায় একজন কমান্ডিং অফিসার, দু’জন অতিরিক্ত পুলিস সুপার, ১১ জন ডিএসপি পদ মর্যাদার অফিসার নিযুক্ত থাকছেন। এছাড়াও ২০ জন ইন্সপেক্টর, ১৬০ জন সাব ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর থাকছেন। এছাড়াও ৩০০ কনস্টেবল, ১২৩ জন মহিলা কনস্টেবল ও ৫৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত করা হচ্ছে। রাসমেলা ময়দানে প্রতিদিন সকাল থেকেই মানুষের আনাগোনা থাকে। বেলা যত গড়ায় ততই ভিড় বাড়ে। রাতে সেই ভিড় জনসমুদ্রে পরিণত হয়। রাসমেলা মায়দানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের স্টলের পাশাপাশি থাকে পুরসভার সাংস্কৃতিক মঞ্চ। সেখানে কলকাতা-মুম্বই থেকে শিল্পীরা এবারও আসবেন গান গাইতে। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সামনে। ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো রাখার বিষয়ে ব্যাপক পুলিসি তৎপরতা চলছে। বিরাট এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য মেলা মাঠে পুলিসের ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। ড্রোন, সিসি ক্যামেরা প্রভৃতি ব্যবহার করে নজরদারি চালানোর কথা পুলিসের এক পদস্থ অফিসার জানিয়েছেন। দিন-রাত সর্বক্ষণই পুলিস থাকবে মেলা চত্বরে।