এবার পিৎজা, বার্গার, স্যান্ডউইচ আরও দামি! বড়দিনের আগেই বাড়বে কেক, পাউরুটির দাম?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বড়দিনের আগেই বাড়তে চলেছে কেক, পাউরুটির দাম। আটা-ময়দা-চিনির দর বেড়েছে। কর্মচারীদের বেতনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার আম-আদমির ব্রেকফাস্ট বা টিফিনেও পড়তে চলেছে দর বৃদ্ধির আঁচ। পিৎজা, বার্গারের দামেও প্রভাব পড়তে পারে। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই কেক-পাউরুটির দাম বাড়তে পারে। দামবৃদ্ধি নিয়ে বেকারি মালিকরা জেলায় জেলায় বৈঠক করেছেন। বেশ কয়েকটি সংস্থা নতুন দামে প্রিন্ট করাও শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, বেকারি সংগঠন দাম বৃদ্ধি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আগামী সপ্তাহেই তা নেওয়া হতে পারে। তারপরই দাম বাড়তে পারে।
মনে করা হচ্ছে, ৪০০ গ্রাম পাউরুটির দাম দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০২২ সালের নভেম্বরে শেষবার পাউরুটির দাম বেড়েছিল। তখন এক পাউন্ডের দাম ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা হয়েছিল। সম্ভবত সেই হারেই দাম বাড়ানো হতে পারে। অক্টোবরে প্যাকেটজাত এক কেজি আটার দাম ছিল ৪৫ টাকা। নভেম্বরে তা ৫২ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। প্যাকেটছাড়া আটার দাম ছিল ৩৫, তা এখন ৪০ টাকা। প্যাকেটজাত ময়দার দাম ছিল ৪৮ টাকা, তা এখন ৫৫ টাকা। প্যাকেটছাড়া ময়দা এক মাস আগেও ৩৫ টাকা কেজিতে মিলত, তা এখন ৪০ টাকা প্রতি কেজি। স্বাভাবিকভাবেই কেক-পাউরুটির দাম বাড়ানোর দাবি করছেন বেকারি মালিকরা।
বেকারি মালিকদের বক্তব্য, ময়দা, চিনি, ভোজ্য তেল, জ্বালানি ইত্যাদির দাম একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কর্মচারীদের মাইনে বেড়ে গিয়েছে। ফলে দাম বাড়ানোর কথা ভাবছেন তাঁরা। ফলে পাউরুটিজাত সমস্ত দ্রব্যের দাম বাড়তে পারে। বড়দিনের আগেই কেক, পিৎজা, স্যান্ডউইচ সবই দামি হয়ে উঠতে পারে। ওয়েস্টবেঙ্গল বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, “দাম বাড়ানো নিয়ে বেকারি মালিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দাম কত বাড়বে সেটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।”