মোদী আমলে দেশে চরমে পৌঁছেছে ধর্মীয় হিংসা, মার্কিন কংগ্রেসের রিসার্চ রিপোর্টে মুখ পুড়ল ভারতের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেতেই ফের পুরনো অস্ত্রে শান দিচ্ছে বিজেপি। ধর্মীয় মেরুকরণের সুর আরও চড়িয়েছে তারা, এমনই অভিযোগ আনছেন বিরোধীদের। এরই মধ্যে ভারতে ধর্মীয় হিংসার বাড়বাড়ন্তের কথা ফের একবার সামনে আসলো মার্কিন কংগ্রেসের রিসার্চ রিপোর্টে। তাতে কার্যত সাফভাবে লেখা হয়েছে, বিজেপি আমলে ভারতে ধর্মীয় হিংসা চরমে। মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলমানদের উপর হিংসার ঘটনা বেড়ে চলেছে। আন্তর্জাতিক মহলে আবারও মোদী সরকারের মুখ পুড়ল।
গত সপ্তাহে ‘ইন্ডিয়া: দ্য রিলিজিয়াস ফ্রিডম ইস্যুজ’ শীর্ষক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আমেরিকার কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস। ধর্মীয় রাজনীতি কীভাবে ভারতে সামাজিক বিভেদ বাড়িয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে রিপোর্টে। উল্লেখ রয়েছে, নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। মোদী সরকারের অস্বস্তি বেড়েছে। আগেও একাধিক মার্কিন রিপোর্টে মোদীর ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতির প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে। নয়াদিল্লি বরাবর তার বিরোধিতা করেছে।
মার্কিন কংগ্রেসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ সালে মোদীর নেতৃত্বে ভারতে সরকার গঠন করে বিজেপি। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যেও বিজেপির ক্ষমতার প্রসার ঘটে। এই সময়কালে ভারতে হিন্দুত্ববাদ ও ধর্মীয় বিদ্বেষ আরও প্রকট হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে ভারতের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকারও সংবিধানের দ্বারা সুরক্ষিত। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর উগ্র হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলির হাত শক্ত হয়েছে। সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরকারি ও সামাজিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মতামত প্রকাশের অধিকার ও উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে সুযোগ অবধি খর্ব করা হচ্ছে।
মার্কিন কংগ্রেসনাল রিসার্চের দাবি, দেশের বিদেশনীতিতেও বিজেপি তথা মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রভাব পড়েছে। এবারের লোকসভা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। এখন তাদের শরিকদের উপর নির্ভর করে সরকার চালাতে হচ্ছে। শরিকি নির্ভরতার জেরে বিভিন্ন বিল নিয়ে পিছু হটতে হয়েছে মোদী সরকারকে। ভোটের পাঁচ মাস পরেও দেশে বিরুদ্ধ-মত দমনের কাজ অব্যাহত।