লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেতেই ফের পুরনো অস্ত্র কালো টাকায় শান BJP-র?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: প্রচারের তিন অস্ত্র – ধর্মীয় বিভাজন, কালো টাকা এবং হিন্দুত্ব, এই তিনে ভর করেই ২০১৪ সালে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। তিন অস্ত্রেই ২০১৪ এবং ২০১৯, দু’বারই অনায়াসে লোকসভায় জয় এসেছে বলে মত বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বর। কিন্তু ২০২৪ সালে এই তিন অস্ত্রকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়নি বলে মনে করছে গেরুয়া শিবিরের। দাবি করা হচ্ছে, এই হাতিয়ার ঠিক মতো ব্যবহার না করার জেরেই গরিষ্ঠতা অধরা থেকে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এবার ফের তিন এজেন্ডাকেই যেকোনও নির্বাচনে সামনে আনা হবে বলে ঠিক করেছে গেরুয়া নেতারা। অঘোষিত আয় বলতে কী কী বলা হবে, তার নতুন তালিকা তৈরি করতে; সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডাইরেক্ট ট্যাক্সেসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
লোকসভা ভোটের প্রচারে বিরোধীরা মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের ইস্যুতে লাগাতার আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তাতে কার্যত দিশাহারা হয়ে পড়েছিল মোদী সরকার। হঠাৎই ব্ল্যাক মানি সংক্রান্ত শ্বেতপত্র সংসদে পেশ করেছিল মোদী সরকার। তাতে টাকা পাচার সংক্রান্ত আইনকে আরও কঠোর করা থেকে শুরু করে একঝাঁক নতুন অভিযানের সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার ব্ল্যাক মানি ইস্যুকে নিয়ে আবারও প্রচার ও অভিযানে নামছে বিজেপি। কালো টাকা উদ্ধার সংক্রান্ত একটি জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটিও হবে। সেই কমিটি সুপারিশ করবে, কোন কোন টাকা এবং আয় বা সঞ্চয়কে কালো টাকা বলা হবে। বিদেশে সম্পত্তি থাকলে মোটা টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয়েছে। জরিমানার অঙ্ক হবে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা।
বিদেশের সম্পত্তি কাকে বলা হবে, তার তালিকাও দিয়েছে আয়কর দপ্তর। আয়কর রিটার্নে বিদেশে যেকোনও ধরনের আর্থিক লেনদেন ও সম্পত্তি বা লগ্নি উল্লেখ করতে হবে। বিমার চুক্তি, বিদেশি স্টক মার্কেটে শেয়ার ক্রয়, কোনও ট্রাস্টে যুক্ত হওয়া বা অংশিদারিত্বও বিদেশে থাকা সম্পদ হিসেবেই গ্রাহ্য করা হবে। আয়করের রিটার্নে যদি তার উল্লেখ না-থাকে, তাহলে তা কালো টাকা হবে। ব্ল্যাক মানি নিয়ে পুনরায় অর্থমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। কালো টাকা সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী বিল আনার কথা ভাবা হয়েছে। তবে কি মোদী সরকার আবার ব্ল্যাক মানি ইস্যুকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে হাতিয়ার করতে চাইছে?