ফ্ল্যাটের কাজ কতদূর, এবার থেকে ক্রেতাদের জানাতে হবে প্রোমোটারকে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কাজ চলছে তো চলছেই, টাকা মিটিয়েও ঠিক সময়ে ফ্ল্যাট হাতে পান না ক্রেতারা। প্রোমোটারের শর্ত মেনে পাওনা মিটিয়েও মেলে না ফ্ল্যাটের চাবি! কতদিন পর তা মিলবে, তাও স্পষ্ট নয়। ফ্ল্যাট কেনাবেচার বাজারে এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। ফ্ল্যাটের ক্রেতাদের এহেন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ কতটা এগল, তার যাবতীয় তথ্য ও ছবি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ‘আপলোড’ করতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিঅয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটির ওয়েবসাইটে। তা মানা না-হলে, মোটা অঙ্কের জরিমানা গুণতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে।
রেরার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যেকোনও ক্রেতা জেনে নিতে পারবেন তাঁর ফ্ল্যাটের কাজ কতটা এগল। নির্মাণ সংস্থাকে প্রতি কোয়ার্টারে অর্থাৎ তিন মাস অন্তর তথ্য ও ছবি জিও ট্যাগিং-সহ তুলতে হবে। প্রতি ত্রৈমাসিকে কাজের অগ্রগতির তথ্য ‘রেরা’র ওয়েবসাইটে না তুললে, নির্মাণকারীকে সতর্ক করে আরও ১৪ দিন সময় দেওয়া হবে। তাতেও না হলে, প্রথম তিন মাসের জন্য জরিমানা হবে ২৫ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পরও একই গাফিলতি চালিয়ে গেলে জরিমানার পরিমাণ হবে ৫০ হাজার টাকা। পরপর চারটি কোয়ার্টারেই কোনও তথ্য ও ছবি না দিলে নির্মাণসংস্থা বা প্রোমোটারকে মোট প্রকল্প খরচের ৫ শতাংশ টাকা জরিমানা করা হবে। আশা করা হচ্ছে, কঠোর নিয়ম লাগু হলে ক্রেতাদের হয়রানি কমবে। শীঘ্রই এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হবে।
রাজ্যে কোনও নতুন ফ্ল্যাট বিক্রি করতে গেলে রেরায় রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আগে ৫০০ বর্গমিটারের চেয়ে বড় জমিতে গড়ে ওঠা আবাসন বা আটটির চেয়ে বেশি ফ্ল্যাট থাকলে ‘রেরা’ কার্যকর হত। এখন ২০০-২৫০ বর্গমিটার জমি বা ছ’টির বেশি ফ্ল্যাট নিয়ে কোনও আবাসন হলেই তা রেরার আওতায় আসে।
‘রেরা’য় নথিভুক্ত বা রেজিস্ট্রেশন হলে নির্মাণকারীকে একটি আইডি এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। তা ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে তথ্য তুলে দিতে পারবেন নির্মাণকারীরা। ক্রেতাদের জন্য কোনও পাসওয়ার্ড নেই। যেকোনও সময় তাঁরা ‘রেরা’র ওয়েবাসাইটে গিয়ে নির্দিষ্ট ফ্ল্যাট বা আবাসনের বর্তমান ‘স্ট্যাটাস’ দেখে নিতে পারবেন।