ভিন রাজ্যে আলু পাঠিয়ে বাড়তি মুনাফা লুটার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে আলু ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দ্রুত টাস্ক ফোর্সের মিটিং ডাকারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে সীমান্ত সিল করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “আমি তো বাংলা থেকে আলু ছাড়ছিলামও। কিন্তু কী বলেছিলাম? বাংলার প্রয়োজন মিটিয়ে বিক্রি করুন, আমার তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কী দেখলাম? বাংলায় আলুর দাম বাড়িয়ে ভিন রাজ্যে আলু পাঠিয়ে বাড়তি মুনাফা লুটার চেষ্টা! এটা তো বরদাস্ত করব না।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আলু উৎপাদনে আমরা স্বনির্ভরশীল। তবু আমাদের রাজ্যের মানুষকে কেন বাড়তি দাম দিয়ে আলু কিনে খেতে হবে? এরপরই প্রশাসনের শীর্ষ কতার্দের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “আমি তো বলেছিলাম, তোমাদের আলু যদি অতিরিক্ত হয়েও যায় আইসিডিএস, মিড ডে মিলে নিয়ে নেব। তারপরও কীভাবে বাংলার মানুষকে বিপদে ফেলে বাইরে আলু পাঠানোর সাহস হয়? এখনই পদক্ষেপ করুন।”
এ প্রসঙ্গে নীচু তলার পুলিশকর্মীদেরও একহাত নিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বলেন, “তুমি হয়তো চেষ্টার কসুর রাখছো না। কিন্ত সরি টু সে, নীচুতলার পুলিশ কর্মীদের অনেকে টাকা খেয়ে সীমান্ত দিয়ে আলু প্রয়োজনের তুলনায় বাইরে পাঠাতে সাহায্য করছে।”
পাশাপাশি এবার কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রেকর্ড অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ করল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্যের মোট ১ কোটি ৯ লক্ষ কৃষককে দেওয়া হবে ২৯৪৩ কোটি টাকা, যা সাম্প্রতিককালে রেকর্ড অঙ্ক। শুক্রবার থেকে এই অর্থ কৃষকদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”চলতি বছরই শুধুমাত্র কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ৫৮৫৯ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হল। এই অর্থ সম্পূর্ণ রাজ্যের, কেন্দ্রের কোনও সহায়তা নেই।”
বৃহস্পতিবার নবান্নের সভা ঘরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী কয়লা, বালি চুরি নিয়ে এবার সরাসরি নীচু তলার কিছু অফিসার, পুলিশের একাংশ কর্মী এবং সিআইএসএফকে দায়ী করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কয়লা চুরি করবে সিআইএসএফ, পুলিশের একাংশ আর দোষ হবে তৃণমূলের? এ জিনিস আমি টলারেট করব না।”