সদস্য পদ সংগ্রহ অভিযানে গতি আনতে দলীয় কর্মীদের পুরস্কারের ‘টোপ’ বিজেপি’র!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে এক কোটি সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়ে গিয়েছেন অমিত শাহ৷ কিন্তু, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে জেলায় জেলায় পিছিয়ে পড়ছে বিজেপি৷ এই অভিযানে গতি আনতে অনেক জেলায় দলীয় কর্মীদের আবার পুরস্কার দেওয়ার ‘টোপ’ও দিয়েছে পদ্মশিবির। সদস্যপদ সংগ্রহে ‘ভালো কাজ’ করলে দলের সেই কর্মীকে পুরস্কার দেবে বিজেপি। এত কিছুর পরও নির্দিষ্ট লক্ষমাত্রায় পৌঁছনো যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত গেরুয়া পার্টির ম্যানেজাররা। কারণ, চলতি মাসে শেষ হচ্ছে দলের সদস্যপদ সংগ্রহের কাজ।
আলিপুরদুয়ার জেলায়ও দলীয় সদস্য পদ সংগ্রহ অভিযানে আশানুরূপ গতি নেই বিজেপির। মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় ৩৫ হাজারের মতো সদস্য পদ সংগ্রহ হয়েছে। চলতি মাস শেষ হতে আর দু’সপ্তাহও বাকি নেই। টার্গেট যে পূরণ করা যাবে না, তা ঘরোয়া আলোচনাতেও কবুল করেছে নেতৃত্ব। তবে প্রকাশ্যে বিবৃতি দিতে তাঁরা নারাজ।
তারজন্যই কি অভিযানে গতি আনতে দলীয় কর্মীদের পুরস্কারের টোপ দেওয়া হচ্ছে? বিজেপির জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মনোজ টিগ্গা অবশ্য সে কথা মানতে নারাজ। মনোজ বলেন, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গতি নেই একথা সঠিক নয়। আসলে সদস্য সংগ্রহের কাজে উৎসাহ দিতেই কর্মীদের পুরস্কার দেওয়া হবে। চলতি মাস শেষ হতে এখনও প্রায় ১০দিন বাকি। আশা করছি, তার আগেই জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাব আমরা।
সদস্য সংগ্রহের কাজে দক্ষতা দেখাতে পারলে কর্মীদের কি পুরস্কার দেওয়া হবে? মনোজ বলেন, সেটা এখনই বলা যাবে না। সদস্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলেই সেটা জানা যাবে। বিজেপি নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন চলতি মাসে দু’লক্ষ সদস্য সংগ্রহ কার্যত অসম্ভব। কেন না বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলায় মাত্র ৩৫ হাজার সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, দলের সদস্য সংগ্রহে সবচেয়ে খারাপ হাল খোদ দলের জেলা সভাপতির প্রাক্তন বিধানসভা এলাকা মাদারিহাটেই। সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯০০’র মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। তারপরই খারাপ হাল কালচিনি বিধানসভা এলাকার। সেখানে এখনও পর্যন্ত মাত্র চার হাজারের মতো সদস্য সংগ্রহ হয়েছে।