বিজেপিতে গোষ্ঠীকোন্দল অব্যাহত, ‘ফের দিলীপ ঘোষকেই চাই’ বলে সোচ্চার হচ্ছেন দলের কর্মী-সমর্থকদের একাংশ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফের দিলীপ ঘোষকেই চাই’ বলে সোচ্চার হচ্ছেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। বিজেপি নেতাদের কথায়, জেলায় দিন দিন কোণঠাসা করা হচ্ছে প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে। উপনির্বাচনে তাঁকে সেভাবে কাজেই লাগানো হল না। যার ফলে উপনির্বাচনে দিলীপ ঘনিষ্ঠরা ময়দানে নামেননি। যার প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে। এ নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষ, মানুষের জন্য কাজ করতে হয় না। তাই গোষ্ঠীকোন্দলই বিজেপির ভরসা। এদিকে উপনির্বাচনে হারের পর দলীয় স্তরে শুরু হয়েছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
তবে এদিন দিলীপবাবু বলেন, আসলে টিএমসি ভোট করতেই দেয় না। ফলে জেতাহারা মানুষের উপর নির্ভর করে না। আমাকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব আমার ইচ্ছেমতো হবে, এটা হয় না পার্টিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাঁদের অভিমত জানাতেই পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া এর জন্যই তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের পর থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তার অন্যতম কাণ্ডারী ছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি কার্যত জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সংগঠন মজবুত করেছিলেন।
তার ফলস্বরূপ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করে বিজেপি। তবে বিজেপি নেতৃত্বের ক্ষোভ, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সিদ্ধান্তে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন কিছু নেতা। আর সেই সময় থেকেই চরম আকারে শুরু হয় গোষ্ঠী কোন্দল। যা একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠরা। এর প্রভাব পড়েছে প্রতিটি নির্বাচনে। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ও গত লোকসভা ভোটেও জিততে পারেনি গেরুয়া শিবির। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় নেতৃত্ব জানাচ্ছে, দিনে দিনে জেলায় দিলীপ ঘনিষ্ঠদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা ক্ষমতাসীন নেতাদের হাতেই দলের কন্ট্রোল চলে গিয়েছে। তাই এবারের উপনির্বাচনেও প্রচারে সেভাবে দেখা মেলেনি দিলীপবাবুর। দিলীপ ঘনিষ্ঠ মহিলা সংগঠনের একাংশ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। দিলীপ বিরোধীরা টাকা খরচ করেই ভোটে বাজিমাত করতে চেয়েছেন।